সাধারণ যাত্রীদের পারাপার বন্ধ রয়েছে ঘাটের এ সকল নৌযানে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বন্ধ রয়েছে সকল লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল। ফেরি চললেও শুধুমাত্র পণ্যবাহী পরিবহন ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলেও পদ্মা পারাপার থেমে নেই! বাংলবাজার ঘাট থেকে কিছু দূরে কাঁঠালবাড়ী ঘাট সংলগ্ন পদ্মার পাড় ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রলারে করে পার করা হচ্ছে যাত্রীদের। শনিবার (১০ এপ্রিল) শিবচরের বাংলাবাজার ও কাঁঠালবাড়ী ঘাট ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।
সরেজমিনে ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে পদ্মাসেতুর জাজিরা পয়েন্ট এলাকার পদ্মার পাড়ের বিভিন্ন স্থান থেকেই ট্রলারে করে শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রীদের পার করা হচ্ছে। শিমুলিয়া থেকেও যাত্রী নিয়ে ট্রলারের পাশাপাশি কিছু কিছু স্পিডবোটও যাত্রীদের নিয়ে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে আসছে। যাত্রীদের নিয়ে শিমুলিয়া থেকে আসা ট্রলার ও স্পিডবোটগুলো নির্দিষ্ট স্থানে এসে ভিড়ছে না। বাংলাবাজার ঘাট, কাঁঠালবাড়ী ঘাট ও এর আশেপাশের পদ্মার পার বিচ্ছিন্ন ভাবে এসে ভিড়ছে যাত্রীবাহী ট্রলার ও স্পিডবোট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রলার চালকেরা জানান, ‘যাত্রীদের চাপ থাকায় পারাপার করছি।
লঞ্চ বন্ধ। কিন্তু যাত্রীদের আসা-যাওয়া তো আর বন্ধ না। অনেকেরই জরুরি প্রয়োজন থাকে। তারা পদ্মা পার হবার জন্য ট্রলারের উপর নির্ভর করে। শিমুলিয়া থেকে ট্রলার এসে এখানে একই স্থানে থামানো হয় না। পুলিশ-সেনাবাহিনীর টহল থাকে। এজন্য পদ্মার পাড়ের বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীদের নামানো হয়।’
এদিকে ট্রলারের পাশাপাশি শিমুলিয়া থেকে কিছু কিছু স্পিডবোটও যাত্রীদের নিয়ে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে আসছে। আবার এখান থেকে যাত্রী নিয়েও শিমুলিয়া যাচ্ছে। যাত্রীরা জানিয়েছে, এসকল স্পিডবোটে যাত্রী প্রতি তিনশত টাকা করে ভাড়া নেয়া হচ্ছে। আর ট্রলারে নেয়া হচ্ছে ১ শত টাকা।
শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটের স্পিডবোট চালক মো. রুবেল হোসেন বলেন, বাংলাবাজার ঘাট থেকে কোন স্পিডবোট যাত্রীদের পারাপার করছে না। গত সোমবার থেকেই বন্ধ রয়েছে। তবে শিমুলিয়া থেকে কিছু কিছু স্পিডবোট যাত্রীদের নিয়ে আসছে আবার এপার থেকেও যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছে। তবে বাংলাবাজার ঘাটের কোন স্পিডবোট চালক যাত্রী পারাপারের সাথে জড়িত নয়। তারা গত ৫ দিন ধরেই বেকার পড়ে আছে!
ঢাকা আসা যাত্রী মো. কাওসার হোসেন বলেন, লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ। ফেরিতেও যাত্রীদের উঠতে দেয় না। তাই ট্রলারে করে পার হয়েছি। একশ টাকা ভাড়া ট্রলারে।
আরেক যাত্রী জুলহাস মিয়া বলেন, ঘাট থেকে কিছুটা দূরে কয়েকটা স্পিডবোট যাত্রীদের পার করছে। তার একটাতেই এসেছি। ভাড়া নিয়েছে ৩ শত টাকা।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন জানান, লকডাউনের দিন থেকেই লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে পার হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছি।’
বাংলাবাজার ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, সীমিত ভাবে ৮/১০ টি ফেরি চলাচল করছে জরুরী পরিবহন পারাপারের জন্য। তবে যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে না। পচনশীল পন্যের পরিবহন ও অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি প্রয়োজনের গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে।