বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ সরকারের প্রতি তিন দফা দাবি জানিয়েছে । আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই দাবিগুলো মানা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা। এর আগে সকালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদ। এসময় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় তাদের। সংঘর্ষে সংগঠনটি ৪২ জন আহত এবং ৩২ জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছে বলে দাবি জানিয়েছে তারা।
সরকারি প্রতি দেয়া তাদের দাবিগুলো হলো দাবিগুলো হলো- আন্দোলনে সংগঠনটির যে সকল নেতাকর্মী আহত হয়েছে এর দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে। আটককৃতদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন বাতিল করতে হবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান বলেন, এ অবৈধ সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে।
বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণ আমাদের সঙ্গে একাত্ম হয়েছে যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমরা এদেশের স্বাগত জানাবো না।
তিনি বলেন, আমারা আজকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। এতে আমাদের ৪২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া ৩২ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা অবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তি দাবি জানাচ্ছি। না হয় আমরা আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাব।