ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত সাত জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু, দুজন নারী এবং বাকি তিজন পুরুষ রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুনে পোড়া ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময় এসব মরদেহ উদ্ধার করে। এখনও তারা ধ্বংসস্তূপ সরানো কাজ করছেন।
গতকাল সোমবার বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পাশের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, এপিবিএন এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টার পর রাত সোয়া ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনে সব মিলিয়ে প্রায় দশ হাজার ঘর পুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আগুন কীভাবে লেগেছে, ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ কত, তা নিরূপন করবে তদন্ত কমিটি।
কক্সবাজার ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহদাত হোসেন জানান, আগুন রাতে নিয়ন্ত্রণে এলেও পোড়া ধ্বংস্তুপের কোথাও কোথাও ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয়রা ধ্বংসস্তূপ সরাতে কাজ করছেন। আমরা এ পর্যন্ত সাতজন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করে এপিবিএনকে হস্তান্তর করেছি। তাদের মধ্যে দুটি শিশু, দুজন নারী এবং বাকি তিজন পুরুষ। ক্যাম্পে আগুন লাগার পর পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয় বিভিন্ন এনজিওর পক্ষ থেকে।