সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের একটি বিবৃতি নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন । ওই বিবৃতিতে আ স ম রব বলেন, সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা ও অবদান উপেক্ষিত হচ্ছে। যে ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে, তা পরিচালনার কৃতিত্ব প্রবাসী সরকারের। এ সরকারের অবদানকে অস্বীকার করার অর্থ সমগ্র মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মানিত করা।
এক বিবৃতিতে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে।
মুক্তিযুদ্ধের এই গৌরবময় অধ্যায়কে আড়ালে রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হবে সত্য থেকে বিচ্যুতি এবং লাখো শহীদের আত্মত্যাগের মহিমাকে অমর্যাদা করা। মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে জাতিরাষ্ট্র গঠনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি।
তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে অপরিসীম সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত না হলে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা দুরূহ হয়ে পড়ত।
প্রবাসী সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা জাতির কাছে উপস্থাপনে ৪ দফা দাবি পেশ করেন তিনি। এগুলো হলো- (১) ১০ এপ্রিল বা ১৭ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা করতে হবে। (২) সুবর্ণ জয়ন্তীর সব রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রবাসী সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা ও অবদান যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করতে হবে।
(৩) প্রবাসী সরকারের স্মরণে ঢাকায় একটি মানসম্পন্ন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে হবে, এবং (৪) পাঠ্যপুস্তকে প্রবাসী সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অবদান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
প্রবাসী সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকাকে অস্বীকার করে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান বা বক্তব্য হবে আত্মঘাতী। সরকারের উচিত ৪ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরে বিবেকের দায় শোধ করা।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানসমূহে প্রবাসী সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার ভূমিকা ও অবদান উপেক্ষিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমে এই বিবৃতি প্রদান করেছেন।
ওদিকে, আরেকটি স্ট্যাটাসে সোহেল তাজ লিখেছেন, কি এক হতভাগা দেশ, বিচিত্র দেশ, যে দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও নিজের সঠিক ইতিহাস জানে না।