ঢাকা : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরায় মজবুত, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে কথা বলছেন ।
মঙ্গলবার মস্কোয় এক বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এ কথা জানান। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশের বাইরে গেলেন এরদোয়ান।
পুতিনকে ‘প্রিয় বন্ধু’ সম্বোধন করে এরদোয়ান বলেছেন, একটি প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপ লাইন প্রকল্প এবং দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে তুরস্ক প্রস্তুত রয়েছে।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তুরস্কে রাশিয়ান পর্যটকদের প্রবেশের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হবে। তাছাড়া, তুরস্কের কৃষি পণ্যে আমদানি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও পর্যায়ক্রমে উঠিয়ে নেয়া হবে।
পুতিন আরও বলেছেন, সিরিয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে পৃথক আলোচনা হবে। এই সঙ্কট কাটাতে শীর্ষ সামরিক এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সিরিয়ার বিষয়ে মস্কো ও আঙ্কারা বিপরীতমুখী অবস্থানে রয়েছে। মস্কো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন করছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে আসাদ সরকারের পক্ষে বিমান অভিযান চালায় রাশিয়া। অন্যদিকে, আসাদ বিরোধী বাহিনীকে সহযোগিতা করছে তুরস্ক।
গত বছরের নভেম্বরে সিরিয়া সীমান্তে তুরস্কের গুলিতে রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হলে মস্কো-আঙ্কারার মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দেশ দুইটির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। অবশ্য এই কারণে এরদোয়ান দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ভ্লাদিমির পুতিন ইতিমধ্যে তার সরকারকে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু করতে বলেছেন।