ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য সংগঠনের সব জেলা ও মহানগর শাখাকে তৃণমূলের রেজুলেশন পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে ২০টি জেলার ৬৩টি উপজেলার ৩২৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। একইভাবে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন ধাপে সারাদেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সুনির্দিষ্ট গঠনতান্ত্রিক বিধি মোতাবেক তৃণমূলের রেজুলেশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রথম ধাপে ৩২৩টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ২৮(৩)(ঙ) অনুযায়ী আগ্রহী প্রার্থীদের প্যানেল তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার আয়োজন করবে এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থীদের একটি প্যানেল সুপারিশের জন্য কেন্দ্রে প্রেরণ করবে।
সুপারিশকৃত প্যানেলটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের (ছয়জনের) যুক্ত স্বাক্ষরে নির্বাচন কমিশন ঘোষিতব্য তফসিলে উল্লিখিত তারিখের আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা) দপ্তর বিভাগে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
প্রার্থী প্যানেল তৈরির ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে- ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পরামর্শ গ্রহণপূর্বক কমপক্ষে তিনজনের একটি প্যানেল প্রস্তাব করতে হবে, নির্বাচনী আইন, নীতিমালা ও বিধিমালা অনুযায়ী প্রস্তাবিত প্রার্থীদের নাম (জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী)-এর সাথে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং রাজনৈতিক পরিচিতি সম্বলিত একটি সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত অবশ্যই পাঠাতে হবে, যা বাধ্যতামূলক।