ঢাকা : সরকারি কোটা পূরণ না হওয়ায় ৪ হাজার ৮০০ হজযাত্রীকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রেরণের অনুমতি দিয়েছিল সৌদি সরকার। চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য সৌদি সরকারের বরাদ্দকৃত ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না! নিবন্ধনসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল তারা।অনুসন্ধানে জানা গেছে, সর্বশেষ বেঁধে দেয়া সময়ের পরও দেড় সহস্রাধিক কোটা পূরণ হয়নি। সময় স্বল্পতা, হজ নীতিমালা ও চূড়ান্ত নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আদালতের প্রাক-নিবন্ধনের সিরিয়াল মানার বাধ্যবাধকতা থাকায় কোটা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা আজ (মঙ্গলবার) জাগো নিউজকে জানান, সৌদি সরকারের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসারে এখন আর নতুন করে নাম নিবন্ধনের সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছে গেছেন। তবে সৌদি সরকার বিশেষ বিবেচনায় সময় বৃদ্ধি করলে হয়তো সম্পূর্ণ কোটা পূরণ করা সম্ভব হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সৌদি সরকার বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনকে হজে পাঠানোর অনুমতি দেয়। এর মেধ্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জনের কোটা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। মোট ৪৮৩টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চলতি বছর ইলেকট্রনিক (ই) হজ পদ্ধতিতে ৯১ হাজার ৭৫৮ জনের কোটার বিপরীতে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার হজ গমনেচ্ছু প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার কোটা পূরণ হলেও সরকারি কোটায় ৪ হাজার ৮০০ পূরণ না হওয়ায় বেসরকারি এজেন্সিগুলো ওই কোটায় হজযাত্রী পরিবহনের অনুমতি গ্রহণের জন্য ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের কাছে অনুরোধ জানান। তিনি সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাখা করে অনুমতি চাইলে গত সপ্তাহে সৌদি সরকার অনুমতি প্রদান করে।
অভিযোগ উঠে কিছু এজেন্সি সিরিয়াল ভঙ্গ করে সরকারি কোটার বেসরকারিভাবে হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। কিছু এজেন্সি আদালতের সিরিয়াল অনুসারে হজযাত্রী পরিবহনের জন্য রিট মামলা দায়ের করে। আদালত কিছুতেই সিরিয়াল ভঙ্গ করে হজযাত্রী পরিবহন করা যাবে না এই মর্মে নির্দেশনা জারি করেন। একদিকে সময় স্বল্পতা অন্যদিকে সিরিয়াল মেনে হজযাত্রী পাঠানোর আদালতের নির্দেশনার কারণে অনেক এজেন্সি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ফলে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জনের কোটা পূরণ হয়নি বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হজ অফিস (ঢাকা) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু কোটা শূন্য রয়েছে নিশ্চিত করলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।