মন্ত্রিসভা আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (আইভিআই) প্রতিষ্ঠায় চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে । সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই অনুমোদনের কথা জানান। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ২৮শে অক্টোবর ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে একটা আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউটের চুক্তি হয়েছিল।
সেখানে আমরা স্বাক্ষর করি। কিন্তু এটার পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য আমাদের কেবিনেটের অনুমোদনের দরকার- সেজন্য এ প্রস্তাব তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, এটা যদি আমরা করি তাহলে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং এ সম্পর্কিত গবেষণা কাজে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা পাওয়া যাবে।
এতে দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাসমূহের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। ভ্যাকসিন উৎপাদন, প্রয়োগ ও মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরো যুগোপযোগী হবে। নতুন আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশে নতুন ভ্যাকসিন উৎপাদন আরো সহজতর হবে। ফলে দেশে স্বল্পমূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। আর আমাদের ভ্যাকসিনের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যোগ্যতা অর্জনের পথও সুগম হবে। যা বিদেশে বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের বাজার সমপ্রসারণে সহায়ক হবে- যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের যেহেতু ফার্মাসিউটিক্যালস উৎপাদনের মান মোটামুটি মানসম্মত। যা বিশ্বে প্রমাণিত। সুতরাং এক্ষেত্রে আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই এগুলো অর্জন করতে পারবো। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আরো বেশি প্রয়োজন বলে অনুভূত হয়েছে।