হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী জীবনের ওপর হুমকি এলেও ‘হক’ কথা বলে যাবেন বলে জানিয়েছেন । তিনি বলেছেন- ‘হক কথা বলতে গিয়ে যদি জীবনের ওপর হুমকি আসে, জেল-জুলুম আসে, ফাঁসি কাষ্ঠেও যদি ঝুলতে হয়, তবুও সত্য কথা বলতে পিছপা হবো না।’ তিনি রোববার মধ্যরাতে সিলেটের ভার্থখলা জামেয়া নূরিয়া ইসলামিয়ার দুইদিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বয়ানে এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন- ‘নাস্তিকেরা কোনো ধর্ম মানে না।
এদেশে মুসলিমদের সঙ্গে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরা থাকতে পারবে। কিন্তু নাস্তিকেরা থাকতে পারবে না। আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবাই ধর্ম মানে। ঈদের নামাজে আমরা সবাই এক কাতারে শামিল হই। পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে আত্মীয়তাও করি।
কিন্তু নাস্তিকদের সঙ্গে আমাদের আস্তিকদের কোনো সম্পর্ক নেই, আপস নেই।’ হেফাজতের আমীর বলেছেন- ‘কাদিয়ানীদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। এদেরকে রাষ্ট্রীয় ভাবে, সাংবিধানিক ভাবে কাফের ঘোষণা করতে হবে। তাদের যদি বাংলাদেশে থাকতে হয়, তাহলে কাফের হিসেবে থাকতে হবে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু মুসলিম পরিচয়ে, ইসলামী পরিভাষা ব্যবহার করে তারা এদেশে থাকতে পারবে না।’ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও জামেয়া ভার্থখলার প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা শায়খ মজদুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ও জামেয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলয়াসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সমাপনী দিনে আরো বক্তব্য রাখেন- হেফাজতের উপদেষ্টা ও আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর মাদ্রাসার মুহতামিম শায়খ মাওলানা জিয়া উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদের খতিব ও হেফাজতের নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী বলেন- ‘কওমি মাদ্রাসাকে বন্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে। এগুলো রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে বলে করোনার মধ্যেও কওমি মাদ্রাসা খুলে দিয়েছে।