শাহরুখ-কাজলের ১৯৯৩ সালের সিনেমা ‘বাজিগর’ দিয়ে জুটি হিসেবে যাত্রা শুরু হয় । ওই সময়ের কথা মনে করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে শাহরুখ বলেন, “যখন আমি ‘বাজিগর’-এ কাজ করছিলাম, তখন, আমির আমার কাঝে কাজল-এর সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। আমি তাকে বলেছিলাম, ‘সে খুবই খারাপ অভিনেত্রী। কাজে কোনো মনযোগ নেই। তুমি ওর সঙ্গে কাজ করতে পারবে না।’”
তবে ‘বাজিগর’-এর রাশপ্রিন্ট দেখে কাজল সম্পর্কে ধারণা বদলে যায় শাহরুখ-এর।
“ ওইদিন সন্ধ্যাতেই আমি রাশপ্রিন্ট দেখি। সাথে সাথে আমার মত বদলে যায়। আমি আমিরকে ফোন করে বলি, আমি জানি না কারণটা কী, কিন্তু পর্দায় ওর অভিনয় জাদুকরী!”
শাহরুখ যখন এমনটাই ভাবতেন কাজল সমপর্কে, তাহলে তাদের বন্ধুত্বটা হলো কিভাবে?
কাজল জানান সেই গল্প, “আমার মনে আছে, একদিন সবাই একে অন্যের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল। আমি মারাঠি ভাষায় শাহরুখ-এর মেকআপম্যানের অনবরত কথা বলে যাচ্ছিলাম। তখন এক পর্যায়ে শাহরুখ আমাকে ধমক দিয়ে উঠলো, “তুমি কি চুপ হবে??” মনে হয়, এখান থেকেই আমাদের বন্ধুত্তের শুরু।”
শাহরুখ মনে করেন কাজল আগের মতোই ‘বাচাল’ আছেন। প্রতিবারই তাকে চুপ করাতে হয়।
“ব্যক্তিজীবনে আমি খুব একটা কথা বলতে পছন্দ করিনা। তবে কাজল এব্যাপারে আমাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। এখনও ওকে আমাদের চুপ করতে বলতে হয়।”
কাজল অবশ্য মনে করেন দুই দশকে অনেকটাই বদলেছেন তারা।
“আমরা দুজনই গত ২০ বছরে অনেক পাল্টে গেছি। অভিনয় এবং অন্যান্য ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে প্রচুর।”
নিজের মেয়ে সুহানাকে কাজলের ছাত্রী বানাতে চান কিং খান। মেয়ের অভিনয়ের ব্যাপারে কাজলই পারে সাহায্য করতে, এটা তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন।
তিনি বলেন, “কাজল কৌশলগত দিক থেকে খুব বেশি ভাল না, তবে সে একজন সৎ অভিনেত্রী। এটা অনেক বড় এক গুণ। আমার মেয়ে সুহানা অভিনেত্রী হতে চায়, এবং আমি চাই এই গুণটি সে কাজলের কাছ থেকে শিখুক। আমি বলে বোঝাতে পারবো না, কিন্তু পর্দায় ওকে সত্যি অন্যরকম লাগে।”
‘বাজিগর’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যাঁয়’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ , ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমাগুলোতে পর্দা কাঁপানো এই দুই তারকা সর্বশেষ একসাথে কাজ করেন রোহিত শেঠির ‘দিলওয়ালে’ সিনেমাতে। ভক্তরা অপেক্ষায় আছে আবার কবে রুপালী পর্দায় একসাথে দেখা যাবে তাদের।