ঢাকা : মানুষের স্বপ্নের এই পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজের আরও একটি অগ্রগতিতে নদী তীরের দুই পারের বাসিন্দাদের মধ্যে লেগেছে খুশির হাওয়া দেশের সবচেয়ে বড় সেতু নির্মাণে কর্মযজ্ঞ এগিয়ে চলেছে। । মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়াঘাটে নামানো হচ্ছে সেতু নির্মাণের সুপার স্ট্রাকচার (স্পান)। মঙ্গলবার দুপুরে স্পান বহনকারী জাহাজ থেকে এগুলো নামানো হয়।
চীনের তৈরি এই সুপার স্ট্রাকচার নিয়ে গত ২ জুলাই চীন থেকে জাহাজ রওনা হয়। ৩ আগস্ট সেগুলো বাগেরহাটের মংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। এর পর নদী পাথে সোমবার দুপুরে মাওয়া পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছায়।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের নিবার্হী প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন এর নেতৃত্বে সকাল থেকে জাহাজ থেকে তা নামিয়ে ডাস্ট হাউসে নেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ আরো একধাপ এগিয়ে গেল বলে বলছেন সেতু নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলবাসীদের এই স্বপ্নে সেতু নির্মাণে মূল সেতু, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এরিয়া এবং তদারকি পরামর্শক সংক্রান্ত ছয়টি প্যাকেজে ভাগ করে নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। নদীতে পাইল বসানোর কাজও চলছে।
সোমবার সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ‘মূল সেতুর ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সুপার স্ট্রাকচারে মোট ৪১টি স্প্যান থাকবে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার এবং আনুমানিক ওজন দুই হাজার ৯০০ টন।
পদ্মা সেতু দিয়ে একই সঙ্গে গাড়ি ও ট্রেন চলাচল করবে। এটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হওয়ার পর ২০১৪ সালে সরকার নিজ অর্থায়নে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। পদ্মা নদীর পাওয়া পয়েন্টে এই সেতু নির্মিত হলে রাজশাহীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন সহজ হবে। এতে মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর মাদারীপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল, পটুয়াখালীসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি পাল্টে যাবে বলে আশা করছে সরকার। এই সেতু নির্মাণ হলে গোটা দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি এক শতাংশেরও বেশি বাড়বে বলে আশা করছেন অর্থনীতিবিদরা।