নিহত মওদুদ আহমেদ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অগ্রণী ব্যাংক হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখার ক্যাশ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে সিলেটে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের হামলায় এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
শনিবার রাতে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫) ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার টেংগুরিপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে। তিনি হরিপুরেই একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার বিকালে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় নগরীর বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ। সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে আসার পর সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুর (২৮) সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় মওদুদের। এক পর্যায়ে নোমানসহ আরও কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক মওদুদ আহমেদকে বেধড়ক মারধর করেন।
এ সময় মওদুদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান মুরাদ আহমেদ ও ইউনুছ আলী নামে দুই ব্যক্তি। রাত ৮টা ৪২ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান মওদুদ আহমেদ।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হন বন্দরবাজার ফাঁড়ির আইসি এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ততক্ষণে নোমান হাছনুসহ অন্য ঘাতকেরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ওসমানী হাসপাতালে পৌঁছে সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
রবিবার নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদি হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুরের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিন্তু জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।