ঢাকা : টিআর ও কাবিখা প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া গম চুরিতে সংসদ সদস্যদের জড়িয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বক্তব্যের বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম; সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল খায়রুন্নেছা। আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘যথাযথভাবে করা হয়নি বলে আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে। এই আদালতে আবারও আবেদন করা যাবে। ’
গত ২৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন। এতে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়।একইসঙ্গে সংসদ সদস্যদের নামে বরাদ্দ করা প্রকল্প বন্ধেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে স্থানীয় সরকার সচিব, অর্থসচিব, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়।
গত ২৪ জুলাই ঢাকায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিআর-কাবিখার বরাদ্দের অর্ধেকই চলে যায় সংসদ সদস্যদের পকেটে। মাঠপর্যায়ে যদি ৩০০ টন যায়, সেখান থেকে দেড় শ টন চুরি হয়। আর এসব চুরি করেন সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমলারা। অবশ্য সব এমপিই চুরি করেন না, তবে বেশির ভাগ এমপি চুরি করেন।’
এই বক্তব্যের পরপরই সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন তথ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনাও করেন তথ্যমন্ত্রী। এরপর জাতীয় সংসদেও তীব্র সমালোচনার মুখে বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান হাসানুল হক ইনু