পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কুয়েতে মানব ও অর্থপাচারের দায়ে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের রায়ের কপি হাতে পেয়েছে । ইতোমধ্যে রায়ের কপি জাতীয় সংসদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আজ রাজধানীর পূর্বাচল ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পাপুলের রায়টা আমরা পেয়েছি। ৬১ পৃষ্ঠার রায়। এটি আরবি এবং ইংরেজি দুই ভাষায় আমরা পেয়েছি। আমরা আইন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাননীয় স্পিকারের কাছে এগুলো পৌঁছে দিয়েছি। বাকি অ্যাকশান (ব্যবস্থা) তারা নেবে। মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) কর্মকর্তারা গত ৬ই জুন শহিদুল ইসলামকে তার বাসা থেকে আটক করে। আটকের প্রায় আট মাসের মাথায় রায়ের কপি হাতে পেল বাংলাদেশ সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা রায়ের কপি পেলাম।
আমাদের দেশের মতো কুয়েতেও বারডিক্ট আসতে অনেক দেরি হয়, লিখতে অনেক সময় লাগে। আমরা এটা নিয়ে পেরেশানিতে ছিলাম। আপনাদের মিডিয়া প্রায়ই গিয়ে এটা নিয়ে জানতে চান, স্পিকারও প্রায়ই এটা নিয়ে ফোন করেন। আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বলি, যাতে আমরা রায়টা তাড়াতাড়ি পেতে পারি। রায় আসার পরপরই আমরা যথাস্থানে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের ফৌজদারি আদালত বাংলাদেশের এমপি পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এ এমপিকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে।
পাপুলের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমরা জাতীয় সংসদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। বাকিটুকু তারা সিদ্ধান্ত নেবে। তারা আইনবিধি মোতাবেক কাজ করবে। এটা আমার বলে লাভ নাই। এটা সংসদের একটা নীতি আছে, সেই নীতি অনুয়ায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে।’
পারস্যের দেশটিতে কারাদণ্ড প্রাপ্ত এ এমপি বাংলাদেশ সরকারের কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছে কিনা- এমন আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি কোনো আইনি সহায়তা চান নাই। ওখানে তিনি ব্যবসায়ী হিসেবে থাকেন এবং আমাদের কোনো ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট নিয়ে যাননি। আমাদের মিশনের কোনো সাহায্য তিনি চাননি। কারণ ওনার নিজেরই ভালো অবস্থান রয়েছে সেখানে। ওনার পাসপোর্ট ভিআইপি পাসপোর্ট।