বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক পোশাক শিল্পের পণ্য চালান দ্রুত খালাস, ক্রেতার নির্ধারিত সময়ে রপ্তানি নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৃহস্পতিবার ড. রুবানার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
সাক্ষাৎকালে ড. রুবানা হক বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইতোমধ্যে দৃশ্যমান। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারসহ সবার সহযোগিতায় পোশাক শিল্প খাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি করোনাকালীন দুঃসময়ের মধ্যেও কাস্টমস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। চলমান মন্দাবস্থা উত্তরণে পোশাক শিল্পের পণ্য চালান দ্রুত খালাস ও ক্রেতার নির্ধারিত সময়ে রপ্তানি নিশ্চিতকরণে কাস্টমস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদন করছে। তিনি আমদানি খরচ কমানো ও ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে যানজট কমানোর লক্ষ্যে পানগাঁও বন্দর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এজন্য বিজিএমইএসহ সব অংশীজনদের সহযোগিতা কামনা করেন।
কাস্টম কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সমাজকে সহযোগিতা তথা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সার্বক্ষণিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সবার সহযোগিতায় বর্তমান মন্দাবস্থা কেটে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎ কালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, সিনিয়র সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ, সহসভাপতি (অর্থ) আবদুর রহিম ফিরোজ, পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেন ও প্রাক্তন সহসভাপতি এবিএম সামশুদ্দিন।