ভয়াবহ অবস্থা ছিল করোনা ভাইরাস সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের । অবস্থা এতটাই উদ্বেগজনক ছিল যে, তাকে ভেন্টিলেটরে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। ট্রাম্প এ নিয়ে কথা বলেছেন ঘনিষ্ঠ একজনের সঙ্গে। তা থেকেই এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। এতে আরো বলা হয়, এ থেকে উদ্বেগজনক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে যে অবস্থায় ছিলেন বলে সরকারি ভাষ্যে বলা হয়েছে, তার চেয়ে তার অবস্থা ছিল শোচনীয়। বৃহস্পতিবার প্রথম এ তথ্য প্রকাশ করে রিপোর্ট করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। অক্টোবরে সিএনএন রিপোর্ট করে যে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তখনকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হেলিকপ্টারে করে দ্রুত উড়িয়ে নেয়া হয় ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করেছে যে, ট্রাম্পের ফুসফুস ফুলে গিয়েছিল। যখন ফুসফুসে প্রদাহ হয় এবং তাতে ফ্লুইড অথবা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয় তখন এমনটা হয়। এসবের উপস্থিতির সঙ্গে আরো কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায় একজন রোগী কতটা মারাত্মকভাবে সংক্রমিত। একটি এক্স-রে বা স্ক্যানে এসব বিষয় খুব সহজেই দেখা যায়। এ সময়ে ফুসফুস অস্বচ্ছ বা সাদা দেখায়।
দ্য টাইমস রিপোর্ট করেছে যে, ট্রাম্পের অক্সিজেন লেভেল কমে দাঁড়িয়েছিল ৮০তে। কিন্তু চিকিৎসক সিন কনলে বার বার সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন এবং ট্রাম্পকে কোনো অক্সিজেন দেয়া হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে তিনি মিথ্য বলেছেন। তবে একবার তিনি বলেছিলেন, ট্রাম্পের অক্সিজেন লেভেল কখনো ৮০র নিচে নামেনি। ব্রাউন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন ডা. আশীষ ঝা বলেন, ডাক্তার কনলি ট্রাম্পের অবস্থা সম্পর্কে প্রকৃত সত্য প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এটা হতাশাজনক। তার ভাষায় ‘আমি হতাশ এ কারণে যে, ওই সময় সুস্পষ্টভাবে সত্য এড়িয়ে গেছেন ডাক্তার কনলি। যদি তিনি এবং হোয়াইট হাউজ স্বচ্ছতা বজায় রাখতেন তাহলে তা হতো উত্তম। তারা যেটা করেছেন তা অত্যন্ত হতাশাজনক, উদ্বেগজনক।
ওদিকে ডাক্তার সিন কনলি মেডিকেল যেসব ব্রিফিং দিয়েছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোসকে যা বলেছেন, তার জবাবে মার্ক মিডোস বলেছেন, শেষ ২৪ ঘটনা প্রেসিডেন্টের জন্য ছিল অত্যন্ত উদ্বেগজনক সময়। পরের ৪৮ ঘন্টা ছিল তার দেখাশোনার জন্য আরো গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে সাবেক ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ বলেছেন, তার স্বামীকে যে এন্টিবডি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে, তা কখনো তাকে দেয়া হয়নি। ফলে মেলানিয়াকে সুস্থ হতে অনেক লম্বা সময় লেগেছে। তিনি সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হতে চেয়েছেন। যেমন হারবাল ওষুধ সেবনের দিকে ঝুঁকেছেন।