অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল করের আওতা বাড়াতে কর ব্যবস্থাপনা দ্রুত সম্পূর্ণ ডিজিটাল করার পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনআরবি) কর্মকর্তাদের আরো দায়িত্ববান হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় রাজস্ব বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেরা করদাতাদের ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ তাগিদ দেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে ১৪১ জন সেরা করদাতার মধ্য থেকে ১০ জনকে ১টি সম্মাননাপত্র, ১টি ক্রেস্ট এবং ১টি আইডি কার্ড প্রদান করা হয়। বাকি করদাতাদের নিজ নিজ কর অঞ্চল অফিস থেকে পুরস্কার সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগে কর নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক ভয়ভীতি ছিল, যা এখন অনেকটা দূর হয়েছে। কর সংগ্রহের সিস্টেম আরও উন্নত করা দরকার। এটা করতে পারলে জনগণ করের আওতায় চলে আসবে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশের মানুষ কর দিতে চায়। আমরা সব জায়গায় পৌঁছাতে পারি না। সমন্বয় করতে পারলে করের আওতায় বাড়বে। এ প্রজন্ম হচ্ছে রেভিনিউ জেনারেশন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে তুলনায় আমাদের কর জিডিপি অনুপাত এখনো অনেক কম। আমাদের অন্তত ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ কর জিডিপি হওয়া উচিত।
এ জন্য রাজস্ব বোর্ডকে ডিজিটাল ব্যবস্থায় যেতে হবে। তাহলে যেসব খাত থেকে কর পাই তা আরও বেড়ে যাবে। নতুন নতুন খাত বের হয়ে আসবে। দেরি না করে কর ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করুন। সেক্ষেত্রে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে রাজস্ব বোর্ডকে।’
প্রতক্ষ কর বেড়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যক্ষ কর বেড়েছে। আমাদের আরও বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে করের হার না বাড়িয়ে আওতা বাড়াতে হবে। রেট না কমালে করের আওতা বাড়বে না। মোট কথা খাত বৃদ্ধি করতে হবে। সেটা করতে পারলে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো।’
সবাইকে কর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজে কর দেবেন, অন্যকেও কর প্রদানে উৎসাহিত করবেন। আমাদের অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। আরও মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এতকিছু করা সাহস আসে করদাতাদের কাছ থেকে। এ জন্য করের আওতায় বৃদ্ধি করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে করদাতাদের সম্মাননাপত্র, আইডি কার্ড ও ক্রেস্ট ছাড়াও প্রথমবারের মত উপহার হিসেবে স্যুভেনিয়র প্রদান করা হয়। এছাড়া একই দিনে সারাদেশের বিভিন্ন কর অঞ্চলে পুরস্কারপ্রাপ্ত করদাতাদের সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।