পশ্চিম বাংলার এই মুসলিম ভোট নিয়ে কপালে ভাঁজ তৃণমূল কংগ্রেসের। ঘোষিত ২৭ শতাংশ, অঘোষিত ৩০ শতাংশ।২০১১ ও ২০১৬ এই দু বছরই মুসলিমদের আনুকূল্য পেয়েছেন দিদি। এবার হায়দরাবাদি আসাউদ্দীন ওয়েসির মিম এবং পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। দুয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে জেরবার তৃণমূল। সীমান্তবর্তী এলাকা মালদহ ও মুর্শিদাবাদে মিম ভালো ভিত্তি গড়েছে। আব্বাস সিদ্দিকীরও সমর্থক আছে। এই অবস্থায় প্রমাদ গুনে তৃণমূল বৈঠকে বসেছে হাজি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে।
হাজি সাহেবরা জানাচ্ছেন, দিদি মুসলিমদের জন্যে ভালো কাজ করেছেন। তাই, মুসলিমরা দিদির সঙ্গেই থাকবে। ইমাম এবং হাজিদের দিয়ে প্রভাব বিস্তৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। তাদের ধারণা ভোট কাটুয়া পার্টি মিম বিজেপিরই আর একটি মুখ। হায়দরাবাদি মুসলিম নেতাকে বাঙালি মুসলমানরা কতটা মেনে নেবে তাই নিয়েও তৃণমূল আস্বস্ত। আসাউদ্দীন কিন্তু আশাবাদী তাঁর দলের সাফল্য সম্পর্কে। তিনি বলছেন, মানুষ এবার নিজেদের স্বার্থের জন্যেই মিম কে ভোট দেবে। আব্বাস সিদ্দিকী কি করেন তার দিকে সবার নজর। বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার প্রাথমিক আলোচনা ভেস্তে গেলেও দরজা এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। সব মিলিয়ে অবস্থা যা তাতে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মুসলিম ভোট এবারও বড় ভূমিকা নিতে চলেছে।