অভিযোগ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে  অবিলম্বে তিন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, কবির কিশোর এবং মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। পাশাপাশি কিশোর ও আহমেদকে জেল থেকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন আহ্বান জানিয়ে সিপিজের এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র গবেষক আলিয়া ইফতিখার বলেছেন, যেকোন সমালোচনামূলক রিপোর্টিংকে স্তব্ধ করে দেয়ার চেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অব্যাহতভাবে এবং ভয়াবহভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে। এতে আমরা উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে সিপিজে একটি বিবৃতি দিয়েছে সোমবার। তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, খবর অনুযায়ী কিশোর ও আহমেদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন করেছে পুলিশ। অন্যদিকে শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। সিপিজের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২০ সালের মে মাস থেকে কিশোর এবং মুশতাককে জেলে রাখা হয়েছে।

এর আগে কাজলকে নয় মাস জেলে আটকে রাখা হয়। ২০২০ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর তাকে মুক্তি দেয়া হয়। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ কিশোর এবং আহমেদ প্রপাগাণ্ডা , মিথ্যা ও আপত্তিকর তথ্যের প্রচার করেছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করতে পারে এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এমন তথ্য প্রচার করেছেন। পুলিশি এসব অভিযোগে যদি তারা দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তাদের ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
গত বছর দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, নিজের ফেসবুক একাউন্টে রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করে এবং মিথ্যা খবর প্রচার করে কাজল আইন লঙ্ঘন করেছেন। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ মিথ্যা এবং আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছেন কাজল। তিনি মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করেছেন বা অন্যের কাছে স্থানান্তর করেছেন।  যদি তিনি অভিযুক্ত প্রমাণিত হন তাহলে প্রতিটি অভিযোগে তার তিন বছর করে জেল হতে পারে। অথবা পাঁচ বছর জেল হতে পারে শেষের একটি অভিযোগে। একই সঙ্গে তাকে তিন লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031