বনবিভাগ জানিয়েছে সুন্দরবনের গহীণে বাংলাদেশ অংশে আগুন লেগে প্রায় চার শতাংশ পুড়ে গেছে বলে । সোমবার দুপুর ২টা নাগাদ সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ফরেস্ট ক্যাম্পের পাশে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানাতে পারেনি বনবিভাগ। তবে এই আগুনে বনের গাছপালার তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করছে বনবিভাগ।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বনে লাগা আগুন সম্পূর্ণ নিভে গেছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এনামুল হক সন্ধ্যা ৭টায় এই প্রতিবেদককে বলেন, বেলা ২টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ফরেস্ট ক্যাম্পের পাশে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পায় বনকর্মীরা। বনকর্মীরা সেখানে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। আগুন যাতে বিস্তৃর্ণ এলাকায় ছড়াতে না পারে সেজন্য বনকর্মীরা প্রথমেই ফায়ার লাইন (আগুনের অংশের মাটি আলাদা করা) কেটে দেয়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট নিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। আগুন ওই এলাকার প্রায় চার শতাংশ জমিতে ছড়িয়ে ছিল। এখানে বনের কোনো মূল্যবান গাছপালা নেই। এখানে আগাছা, পরগাছা ও লতাগুল্ম জাতীয় গাছ রয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় এই প্রতিবেদককে বলেন, বনের যে এলাকায় আগুন লেগেছে ওই এলাকার খালগুলো মরে গেছে। শীত মৌসুমে খালে পানি থাকে না। এই কারণে লোকালয়ের মানুষ পাঁয়ে হেঁটে বনে ঢুকতে পারে। বনের ভেতরে আসা মানুষের বিড়ি সিগারেটের ফেলা আগুন থেকে এই আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি।
বেলায়েত বলেন, বনকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটিয়ে সাড়ে ৫টা নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলেছে। বনের আগুনের কারণ ও পুড়ে যাওয়া অংশের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এনামুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তাদের দেয়া প্রতিবেদন হাতে পেলে আগুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।