ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুর্নীতির অভিযোগে আবারো আদালতে। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। এর মধ্য দিয়ে সেখানে নির্বাচনের ৬ সপ্তাহ আগে এই বিচার কার্যক্রম নতুন এক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের অজুহাতে তার বিরুদ্ধে শুনানি বেশ কয়েক দফা পিছানো হয়েছিল। তারপর সোমবার শুনানি শুরু হয়। এ সময় তিনি অভিযোগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছেন। এরপরে মামলার সাক্ষ্য ও প্রমাণ যাচাই বাছাই করার কথা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গত বছর অভিযোগ আনা হয়। তাতে বলা হয়, তিনি যথার্থহীন উপহার নিয়েছেন এবং তার পক্ষে খবর প্রকাশের জন্য মিডিয়া মুঘলদের বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে চেয়েছেন। যদি এ অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত হন তাহলে তিনিই হবেন এমন প্রথম ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মে মাসে প্রথম আদালতে হাজির হওয়ার আগে ৭১ বছর বয়সী এই নেতা অভিযোগের নিন্দা জানিয়েছেন। বলেছেন, এসব বানোয়াট, হাস্যকর। তিনি দাবি করেছেন তিনি শত্রুতার শিকার। ওদিকে সোমবার জেরুজালেমে আদালতের বাইরে থেকে রিপোর্ট করেন আল জাজিরার সাংবাদিক হ্যারি ফসেট। তিনি বলেন, আদালতের বাইরে এদিন নেতানিয়াহু বিরোধী বিপুল সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ করেছে। এদিন আদালতে তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার জবাব দেয়ার কথা। এ জন্য সপ্তাহে তিনবার আদালতে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে নেতানিয়াহুর। ওদিকে ইসরাইলে দু’বছরেরও কম সময়ের মধ্যে আগামী ২৩ শে মার্চ চতুর্থবারের জন্য নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রায় ৯ মাস আগে সর্বশেষ যখন আদালতে হাজির হয়েছিলেন নেতানিয়াহু, তখন তিনি ছিলেন নির্বাচনে জয়ী, একজন ফ্রেস মানুষ। তিনি তখন প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গান্টজ-এর সঙ্গে জোট সরকার গঠন করছিলেন। কিন্তু সেই জোট সরকার টেকসই হয়নি। নেতানিয়াহুকে অসৎ আখ্যায়িত করেন গাণ্টজ। এর ফলে ডিসেম্বরেই জোট ভেঙে যায়।