বিশ্বব্যাংক সরকারি ক্রয়ে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্টের (ই-জিপি) সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশকে ৪ কোটি ডলার তথা ৩৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) দিচ্ছে। এই অর্থায়ন সকল পাবলিক ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে ই-জিপি সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।

রোববার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) আওতায় বাস্তবায়নাধীন সিপিটিইউর ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্টের (ডিআইএমএপিপিপি) আওতায় এমন উদ্যোগ নেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটনে চলমান প্রকল্পটির জন্য বাড়তি এ অর্থ অনুমোদন করেছে সংস্থাটি। চলমান এবং নতুন কার্যক্রম শেষ করতে অতিরিক্ত ৪০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের মাধ্যমে এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা দেয়া হয়েছে। এই অর্থায়ন জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে এবং টেকসই ক্রয়ের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরিতে সাহায্য করবে।

বলা হয়েছে, এ ছাড়া এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের এবং নারী নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ এবং সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে নাগরিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। ক্রয়ের আইন ও বিধির সঠিক প্রতিপালন এবং তা দক্ষতার সঙ্গে সময়মতো করতে পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সেজন্য ক্রেতা ও দরদাতার মধ্যে একটি পারস্পরিক আস্থা ও বিধির আলোকে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা জরুরি বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংক আরো উল্লেখ করেছে, এটি দরদাতা ও ক্রয়কারীর একটি দ্বিপাক্ষিক প্লাটফর্ম। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, স্থানীয় পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পেশাদার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং একটি টেকসই ক্রয় পরিবেশ তৈরি করা।

বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় গভর্নমেন্ট-টেন্ডারার ফোরামের (জিটিএফ) কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বিশ্বব্যাংকের এই অতিরিক্ত অর্থায়ন সকল পাবলিক ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে ই-জিপি সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।

মহামারি এবং অন্যান্য ভবিষ্যৎ জরুরি অবস্থার মধ্যেও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ই-জিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক নিলাম, সরাসরি চুক্তি, কাঠামো চুক্তি, ইলেকট্রনিক চুক্তি ব্যবস্থাপনা এবং অর্থপ্রদান, ক্রয় ডাটা অ্যানালিটিক্স, জিও-ট্যাগিংসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি ও সাধারণ ছুটির দিনেও ই-জিপি সারাদেশে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ই-জিপির মাধ্যমে কোনো মহামারিতে উন্নয়ন কাজ থেমে থাকবে না।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031