মিয়ানমারের বর্তমান সামরিক নেতৃত্ব ক্ষমতা গ্রহণের কারণ ব্যাখ্যা করে ইয়াঙ্গুনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে পত্র পাঠিয়েছে । সেই চিঠিতে তারা দাবি করেছে, গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত দেশটির জাতীয় নির্বাচনে প্রায় ১ কোটি ৪ লাখ জাল ভোট পড়েছিল, যার প্রেক্ষিতেই এ অভ্যুত্থান। শনিবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, মিয়ানমার সরকার আমাদের রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি দিয়েছে। সেখানে তারা বলেছে কী কারণে তারা ক্ষমতা দখল করেছে। তারা বলেছে, এক কোটির বেশি ভুয়া ভোট হয়েছে। এই ভুয়া ভোটের কারণে তাদের একটি দায়িত্ব চলে এসেছে। রাখাইনে অবশিষ্ট রাহিঙ্গাদের সঙ্গে নতুন সরকারের যোগাযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর এসেছে যে, মিলিটারি কমান্ডাররা রাখাইনে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে গিয়েছিলেন এবং তাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। রোহিঙ্গারা তাদের অভিযোগের কথা বলেছে যে, তারা চলাফেরা করতে পারে না।
আর্মি সরকার বলছে, আমরা তোমাদের অবস্থার পরিবর্তন করবো, ধাপে ধাপে অবস্থার পরিবর্তন করবো। এগুলো শুনে কুতুপালং ক্যাম্পে খুব উৎসাহ হচ্ছে। তারা খুশি যে আর্মিরা তাদের অভয় দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সামরিক প্রশাসনের যোগাযোগকে বাস্তুচ্যুতদের নিজ ভূমিতে ফেরানোর পথে আস্থা তৈরির জন্য সহায়ক ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এগুলো ভালো সংবাদ। এটি একটি ভালো সূচনা। উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং অং সান সু চি’র পতনের পর থেকে কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা শিবির রীতিমতো উৎফুল্য। অনেকে এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।