বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা’র ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি প্রত্যাখান করে প্রতিবাদ জানিয়েছে । অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনে পুলিশ সম্পর্কে মনগড়া, উদ্দেশ্যমূলক ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার এসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
পুলিশ কর্মকর্তাদের এই সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়, আল জাজিরার প্রতিবেদনে জনৈক ব্যক্তির বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার কর্তৃক উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে ওসি পদায়নের কথা উল্লেখ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একজন সৎ, সজ্জন এবং আদর্শ রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে সর্বমহলে সুপরিচিত। থানায় ওসি পদায়নের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কর্মপদ্ধতি অনুযায়ী তিনি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন। সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একজন সম্মানিত ব্যক্তি সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত। বর্তমান আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ ‘ক্লিন ইমেজের’ একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিত।
এ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ওই ব্যক্তি আদৌ এ ধরনের বক্তব্য প্রদান করেছেন নাকি কাট, কপি ও পেস্ট করে এ বক্তব্য তৈরি করা হয়েছে সে সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত বিদেশে অবস্থান করছেন। সে কারণে বর্তমান প্রজন্মের পুলিশিং এবং পুলিশের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে তার স্বচ্ছ ধারণা নেই। সাক্ষাতকারে পুলিশ সম্পর্কে তার দেয়া বক্তব্য কল্পনা নির্ভর।
ড. বেনজীর আহমেদ সম্পর্কে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি পুলিশ সদস্যদের সকল প্রকার অপেশাদার আচরণ ও মাদকের সঙ্গে পুলিশের যে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার ক্ষেত্রে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতি প্রদর্শন করে চলেছেন।
পুলিশের অভ্যন্তরীণ অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে কাজ করছেন আইজিপি। পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রয়োজনে ফৌজদারী অথবা বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ও লক্ষ্য পূরণে যখন পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে, যখন ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে বাংলাদেশ পুলিশকে গড়ে তোলা হচ্ছে, তখন একটি মহলের এ ধরনের দুরভিসন্ধিমূলক প্রতিবেদন প্রচার অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত।