চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে সারা দেশে দুই হাজার ৮২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য এসেছে এক সংগঠনের প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩১১টি শিশু, নারী ৩০১ জন।
১২টি জাতীয় দৈনিক, ছয়টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১২টি আঞ্চলিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
দুর্ঘটনার পেছনে সাতটি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কারণ চিহ্নিত করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
১. বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো
২. অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগ
৩. নিয়ম ভঙ্গ করে ওভারলোডিং ও ওভারটেক করার প্রবণতা
৪. চালকদের দীর্ঘক্ষণ বিরামহীনভাবে গাড়ি চালনা
৫. ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা
৬. ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব
৭. ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও বেহাল সড়ক
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারি মাসে ২৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৭টি শিশু ৪২ জন নারীসহ মোট ৩৪০ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। আহত হয়েছেন ৯৪২ জন।
ফেব্রুয়ারিতে ৩৪৯টি দুর্ঘটনায় ৩৫৬ জন নিহত ও এক হাজার ১২০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৩টি শিশু ও ৪৯ জন নারী।
মার্চে ২৯৬টি দুর্ঘটনায় ৫১ শিশু ৪১ নারীসহ নিহত হয়েছেন ৩০৯ জন। ওই মাসে আহত হয়েছেন ৬২৬ জন।
এপ্রিলে ২৯৬টি দুর্ঘটনায় ৩০৯ জন নিহত ও ৭০৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের ৩৮ শিশু ও ৫২ নারী।
মে মাসে ৩১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ শিশু ও ৩৩ নারীসহ নিহত হয়েছেন ২৯২ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫৮২ জন।
জুনে ২৭৫টি দুর্ঘটনায় ৩৩৫ জন নিহত ও ৮১৯ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৮ শিশু ও ৪৪ নারী।
জুলাই মাসে ২৫৬টি দুর্ঘটনায় ৩০৪ জন নিহত হয়েছেন; যার মধ্যে ৪৯টি শিশু ও ৪০ জন নারী রয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এক হাজার ২৩৭ জন।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা কমিয়ে আনতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
একই সঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও পুলিশকে আরও বেশি ‘দায়িত্বশীল ও কঠোর’ হতে হবে বলে মনে করেন তারা।