ফিফটি ১৪ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে। এমন পারফরম্যান্সে খুশি সাদমান ইসলাম অনিক। তবে ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান অতৃপ্ত ইনিংসটি আরও বড় করতে না পারায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে দলের সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস আসে ওপেনার সাদমানের ব্যাট থেকে। তবে ইনিংসটা তার বড় হতে পারতো। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে কাটা পড়ে সাদমানের উইকেট। তখন রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন তিনি। তবে রিভিউ না নিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাদমান।
বুধবার জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে ২৩৫ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ৫৯ রানের ইনিংসে সাদমান খেলেন ১৫৪ বল। প্রথম দিন চা বিরতির একটু আগে আউট হন সাদমান। তার আউটের কয়েক ওভার আগে বিদায় নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। অনেকক্ষণ দলকে টানলেও তাই সাদমানের আউটে বেশ বিপাকে পড়ে যায় দল। প্রথম দিনের খেলা শেষে সাদমান ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন পর ফিরেছি। দল আমার কাছে যে আশা করেছে, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আরেকটু বড় করতে পারলে ভালো হতো। আমি চেষ্টা করেছি দলের জন্য কিছু করতে।’ সাদমানের ব্যাটিং টেস্টের জন্য বেশি উপযোগী বলে এই সংস্করণেই মূলত তাকে ঘিরে বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনা। তিনি নিজেও সেটা জানেন। তাই দলের বাইরে থাকার সময় নিজেকে শাণিত করার চেষ্টা করেছেন নিবিড় অনুশীলনে। পাশাপাশি দলের সঙ্গে অনুশীলন তো ছিলই। ফেরার টেস্টে এসবের ফলই মিলেছে, বললেন সাদমান। টাইগার ওপেনার বলেন, ‘একটা সংস্করণে খেলতে হলে এসবের মুখোমুখি হতে হয়। আমি ওভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থেকেছি। আমার তো টেস্ট ক্রিকেট দিয়েই ফিরতে হতো। এজন্য চেষ্টা করেছি ফতুল্লায় গিয়ে অনুশীলন করে নিজেকে যেন প্রস্তুত রাখা যায় আর সুযোগ এলে যেন কাজে লাগানো যায়। প্র্যাকটিস আমাদের খুব ভালো হয়েছে। ব্যাটে-বলে টাচ খুব ভালো ছিল। যে কারণে হয়তো পারফরম্যান্স বেরিয়ে এসেছে।’
এত লড়াইয়ের পর আউট হলেন যে শটে, সেটির দায় নিজেই নিলেন সাদমান। বলেন, ‘ম্যাচে কোনো সমস্যা আমি অনুভব করছিলাম না। মিস হয়ে গেছে, ভুল শটে আউট হয়ে গেছি।’
যে সিদ্ধান্তে তিনি আউট হয়েছেন, সেটি অবশ্য ছিল ভুল। জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে আম্পায়ার তাকে এলবিডব্লিউ দেয়ার পর রিভিউ না নিয়ে ফিরে যান সাদমান। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল চলে যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে দিয়ে। আর সাদমান বলেন, বল স্টাম্পে লাগবে নিশ্চিত ছিলেন বলেই তিনি রিভিউ নেননি।