মিয়ানমার প্রথম ধাপে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি হয়েছে। রবিবার সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ ইস্যুতে আবারো বাংলাদেশ-মিয়ানমার বৈঠকে বসবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতের আদালতে ৪ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিষয়ে কুয়েত সরকার বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।

আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।

২০১৯ সালে দুই দফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে ধরে ফিরতে রাজি হননি রোহিঙ্গারা। তারা যেন নিরাপত্তা, মর্যাদা ও নাগরিক অধিকার নিয়ে স্বভূমিতে ফিরতে পারে সেই বন্দোবস্ত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

প্রত্যাবাসনের জন্য ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ছয় দফায় মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৩৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মিয়ানমার মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গার নাম যাচাই-বাছাই করে ফেরত পাঠিয়েছে। তবে তালিকা পরিবারভিত্তিক হওয়ার কথা থাকলেও মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031