অনেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন । আগে থেকে দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী ‘সুরক্ষা’ নামের অ্যাপটি এখনো কার্যকর হয়নি। গুগল প্লে স্টোরে ওই অ্যাপটি  ভেরিফাই না হওয়ায় অ্যাপ দিয়ে নাম নিবন্ধন করা যাচ্ছে না। তবে আইসিটি বিভাগের তৈরি এ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা যাচ্ছে। শুধু ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের সুযোগ থাকায় একসঙ্গে অনেক মানুষ চেষ্টা করায় সময়মতো অনেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না। ২৭শে জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহীদের অনলাইন নিবন্ধনের উদ্বোধন করা হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রথম দুইদিনে চার হাজারের কিছু বেশি মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারেন।

এরপরই প্রশ্ন দেখা দেয়- আদতে মানুষ নিবন্ধন করতে চাইছেন নাকি অন্য কোনো সমস্যার কারণে রেজিস্ট্রেশন কম হচ্ছে। তবে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারিগরি সমস্যার কারণে নিবন্ধনে ধীরগতি। এ কারণে নিবন্ধন কম হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুরক্ষা নামের যে অ্যাপটি আইসিটি বিভাগ তৈরি করেছে তা এখনো গুগল প্লে স্টোরে ভেরিফাই হয়নি। ভেরিভাইয়ের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ধরনের আবেদন নিষ্পত্তি হতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগে। সে হিসাবে সামনের দুই/তিনদিনের মধ্যে অ্যাপটি প্লে স্টোরে পাওয়া যেতে পারে।

এদিকে তৃতীয় দিনে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তিনদিনে গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৩ হাজার ৮৫০ জন টিকা নিতে আগ্রহী নিবন্ধন করেছেন। আগের দিন পর্যন্ত এই সংখ্যা ৪৩৭৩ জন ছিল। ওদিকে সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি চালু করতে চলছে প্রস্তুতি। জেলায় জেলায় টিকা পাঠানো হয়েছে। কর্মীদের দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। কিন্তু নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ধীরগতি হওয়ায় কিছু শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে গতকাল রাজধানী গুলশানে একটি হোটেলে ‘বিশ্ব এনটিডি’ দিবসের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে অনলাইনে করোনাভাইরাসের টিকার নিবন্ধন কম হচ্ছে। অ্যাপসটি মোবাইলে না থাকার কারণে অনেকে নিবন্ধন করতে পারছেন না। এমন অভিযোগ তারা পেয়েছেন। এটি একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যম দিয়ে যেতে হয়, এজন্য সপ্তাহখানেক  সময় লাগতে পারে। প্রত্যাশা  ছিল আরো বেশি নিবন্ধন হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ৩৬টি জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। রাজধানীতে ৪৩টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। ওই সব কেন্দ্রে টিকা দেয়ার জন্য ৩৫৪টি টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে ৫৯টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। সেখানে কাজ করবে ৬৬৯০টি টিম। টিকার দ্বিতীয় চালান কবে আসতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দিন-ক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য বিভাগ শুধুমাত্র অনলাইনে নিবন্ধনকারীদেরই ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। এক্ষেত্রে কারও নিবন্ধন করার সুযোগ না থাকলে সরকার নির্ধারিত ডিজিটাল সেন্টার, ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট টিকাদান কেন্দ্র্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় নির্ধারিত কেন্দ্রে এখনো এ সুবিধা চালু হয়নি।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031