ঢাকা : গত শনিবার দলের নীতি নির্ধারণী বৈঠকে স্পষ্ট করে মমতা জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসে দলবাজি ও তোলাবাজি কোনওটাই চলবে না। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই তৃনমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলে শুদ্ধিকরণের উপর যেমন জোর দিয়েছেন তেমনি তোলাবাজির বিরুদ্ধেও কঠোর মনোভাব নিয়েছেন। কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার দলের শৃঙ্খলা রক্ষা ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হলেও রাশ টানা এখনও সম্ভব হয় নি। একই সঙ্গে দলের নেতাদেরও কঠোরভাবে শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা বলেছেন। নাম ধরে ধরে মমতা নেতাদের যেভাবে সতর্ক করেছেন তাতে মনে করা হচ্ছে দলের সর্বস্তরে তিনি কঠোর বার্তা দিতে চেয়েছেন। এই মুহূর্তে নিজের দলই তাঁর যাবতীয় মাথাব্যথার কারণ। সেইসঙ্গে সিন্ডিকেট নিয়ে বেপরোয়া বাড়াবড়ি নিয়েও তার কাছে বহু অভিযোগ জমা পড়ায় তিনি বেশ বিচলিত। আর তাই তাঁর নির্দেশে বিধাননগর পুরসভার এক কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হয়েছে। গত একমাসে প্রায় ৬৫ জন সিন্ডিকেটের চাঁই ও তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, তোলাবাজি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কাউকে রেয়াত করা হবে না। সবাই যেন সেকথা মাথায় রাখেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তার সঙ্গী হলেও এবার তিনি আর এসব বরদাস্ত করতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন । এদিনের বৈঠকেই সরাসরি বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে তিনি বলেছেন, কাকলি তোমার জায়গায় তুমি খুব নোংরা পলিটিক্স করছ। আমি ববিকে বলেছি সুজিত, সব্যসাচী, কাকলিকে নিয়ে বসে বিষয়টি ঠিক করতে। একই ভাবে বিধাননগরের কৃষ্ণা চক্রবর্তীর উদ্দেশেও কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলায় জেলায় নেতাদের মধ্যে ইগোর লড়াইয়ে যে মমতা অসন্তুষ্ট তাও এদিনের বৈঠকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে ঘরের সমস্যা যেমন তাঁকে ভাবাচ্ছে, তেমন বিরোধীদের নিয়েও কিছুটা চিন্তিত তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। জেলায় জেলায় বিজেপির কার্যকলাপে নজর রাখতে তিনি দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |