চট্টগ্রাম : আবদুল্লাহ আল নোমান বিএনপির হাল ধরে আছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার সাংগঠনিক দক্ষতা প্রশ্নাতীত। রাজনীতিতে ভাবমূর্তিও স্বচ্ছ। আন্দোলনে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও নেই তেমন। আগের জাতীয় সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান পদ পাওয়া নোমান এবার আরও পদোন্নতির আশায় ছিলেন। তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে আসছেন- এমন খবর চাওর হয়েছিল আগেই। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর যারপরনাই হতাশ এ নেতা।
নতুন কমিটিতে স্থায়ী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন চট্টগ্রামেরই নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। রাজনীতিতে তার তুলনায় জ্যেষ্ঠ নোমান। তাকে ডিঙিয়ে স্থায়ী কমিটিতে আমীর খসরুর অন্তর্ভূক্তি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। খসরু শিবিরে চলছে উল্লাস আর নোমারের অনুসারীরা হতাশ, ক্ষুব্ধ।
নোমান অনুসারীরা বলছেন,ত্যাগী নেতা আব্দুল্লাহ্ আল নোমানের সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। তিনি দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। দলের আন্দোলন সংগ্রামে নিয়োজিত ছিলেন। বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন। জাতীয় সম্মেলনেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু দল তার ত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন করেননি।
নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে নোমান ভাইয়ের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। অথচ দলের প্রতিটা দুঃসময়ে তিনি ছিলেন ত্রাণকর্তা। আমি মনে করি, এখনও সময় আছে; নোমান ভাইয়ের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। অন্যথায় মাঠের রাজনীতির চেয়ে ঘরের রাজনীতিই বিএনপির কাল হয়ে দাঁড়াবে।’
আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নতুন সভাপতি শাহাদাত হোসেনও। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘নগর কমিটিতে আমি সন্তুষ্ট। তবে নোমান ভাইয়ের বিষয় বিবেচনা করা উচিত।’
নিজের আক্ষেপ আর হতাশা গোপন রাখছেন না নোমান নিজেও। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীদের বিশ্বাস ছিল স্থায়ী কমিটি হিসেবে মনোনীত হবো। কেন মাইনাস হলাম তা বুঝতে পারছি না। ভেতরে ভেতরে হয়তো কিছু একটা হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে বিএনপির তৃণমূলের কর্মী সর্মথকরা ক্ষুদ্ধ ও আশাহত হয়েছেন- এমন কথাও জানান নোমান। বলেন, ‘অনেক কর্মী সমর্থক তার কাছে ফোন করে কান্নাকাটি করছে।’
গত ১৯ মার্চ বিএনপির জাতীয় সম্মেলনের প্রায় পাঁচ মাস পর গত শনিবার দলের ৫০২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অবশ্য কাগজেকলমে নোমানের স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভূক্তির সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। কারণ ১৯ সদস্যের এই কমিটিতে এখনও দুটি পদ খালি আছে।