আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী । ১৯৩৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। যথাযথ মর্যাদা এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে বিএনপি। রোববার দুপুরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিএনপি’র পক্ষ থেকে শেরেবাংলা নগরস্থ শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। একই দিন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র ও পোস্টার প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি’র উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় বেলা ৩টায় ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ পেশাজীবী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শন এবং ড্যাবসহ চিকিৎসকদের সংগঠন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করবে।
জিয়াউর রহমানের ডাক নাম কমল। ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। ১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আবারো আলোচনায় আসেন জিয়াউর রহমান। নানা পট-পরিবর্তনের একপর্যায়ে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন।
জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান, বীর উত্তমের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। জাতির এক ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান এক ঐতিহাসিক যুগান্তকারী দায়িত্ব পালন করেন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এবং তিনি যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। তিনি হন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।