ঢাকা : বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ একটা দেশ। যারা কখনো কোনো পদক জিততে পারেনি।’ তিনি এটা বললেন না, এই শতাব্দীতে এসেও অলিম্পিক বাংলাদেশের কাছে শুধুই সান্ত্বনার নাম! পতাকা হাতে সিদ্দিকুররা যখন সারি ধরে এগিয়ে গেলেন, ধারাভাষ্যকার তখন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিলেন এভাবে, ‘এবার এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
ধারাভাষ্যকারের গলা শুনে ভালোই বোঝা গেল বাংলাদেশ অংশের স্ক্রিপ্ট করার সময় বেশ ‘গবেষণা’ করা হয়েছে। দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুরের প্রশংসা করতে ভোলেননি তিনি। মনে করিয়ে দিয়েছেন এশিয়ান পর্যায়ে এই গলফারের সাফল্যের কথা।
রিও অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের সাত ক্রীড়াবিদ। সিদ্দিকুর, মাহফিজুর, মেজবাহ, শ্যামলীদের সঙ্গী হয়ে ব্রাজিল গেছেন সাঁতারু সোনিয়া আক্তার, দ্রুততম মানবী শিরীন আক্তার ও শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি। বাস্তবতা হচ্ছে, অলিম্পিকে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখারও সাহস কারও নেই। অংশ নিতে পারছেন এটাই তাদের বড় পাওয়া।
এবার যাদের নিয়ে আশা করা হবে, সেই খেলোয়াড়রা দেশ ছাড়ার আগে সাহস করে কিছু বলতে পারেননি। যে যার মতো বলে গেছেন, নিজের সেরাটা দিব। খেলোয়ড়ারা এমন কথা বললে কর্মকর্তাদের মুখ থেকে আরো অসহায় কথা বের হবে এটাই স্বাভাবিক। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপমহাসচিব আশিকুর রহমান মিকুও তার ব্যতিক্রম নয়, ‘আপনিও আমার মতো একজন ক্রীড়া পরিবারের লোক। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমরা কতটুকু আশা করছি। ওখানে ছেলে-মেয়েরা ভালো খেলতে পারলে সেটাই হবে পাওয়া।’
বাংলাদেশ সেই শুরু থেকে হিটেই বাদ পড়ে। পাশের দেশ ভারত হাতেগোনা কয়েকটি খেলায় ভালো করতে পারলেও বাংলাদেশের খাতা সবসময় শূন্যই পড়ে থাকে। কেন এই অবস্থা?
মিকু বললেন ‘সিস্টেম লসে’র কথা, ‘এদেশের ক্রীড়া জগত সবসময় সিস্টেম লসের ভেতর দিয়ে চলে। বাজেট কম। যতটুকু পাওয়া যায়, ততটুকু আবার সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় না।’
সিস্টেম লস বলতে কী বোঝাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বর্ষীয়ান এই ক্রীড়া সংগঠক সময়ের অভাবে ফোনে বিস্তারিত বলতে পারেননি, ‘শুধু এতটুকু বলতে পারি আমরা বরাবরই ভুল পথে আছি। এই জায়গা থেকে অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছি বের হওয়ার।’