কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৭২৯ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে ২০২০ সালে । এর মধ্যে ৭২৩ জন পুরুষ, ৬ জন নারী শ্রমিক। মৃত্যুর শীর্ষে রয়েছে পরিবহন খাত। এ সেক্টরে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৩৪৮ জন শ্রমিক। দ্বিতীয় অবস্থানে নির্মাণ খাত এবং কৃষি খাত রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)এ তথ্য দিয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ‘বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মক্ষেত্র পরিস্থিতি বিষয়ে সংবাদপত্র ভিত্তিক বিলস জরিপ-২০২০’ শীর্ষক এই জরিপ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিলস জানায়, ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি ৩৪৮ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে পরিবহন খাতের। নির্মাণ খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে কৃষি খাতে। এছাড়া দিনমজুর ৪৯ জন, বিদ্যুৎ খাতের ৩৫ জন, মৎস্য খাতের ২৭ জন, স্টিল মিলের ১৫ জন, নৌপরিবহন খাতের ১৫ জন, অভিবাসী শ্রমিক ১৫ জন ও ১৪ জন মেকানিকের মৃত্যু হয়েছে এই সময়ে।
এর আগে, ২০১৯ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১২০০ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। এর মধ্যে পুরুষ ছিলেন ১ হাজার ১৯৩ জন, নারী ৭ জন। খাত অনুযায়ী ওই বছরেও সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটে পরিবহন খাতে ৫১৬ জন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুও ছিল ২০২০ সালের মতোই নির্মাণ খাতে (১৩৪ জন) ও কৃষি খাতে (১১৬ জন)।
এদিকে, ২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৪৩৩ জন শ্রমিক আহত হন। এর মধ্যে ৩৮৭ জন পুরুষ, ৪৬ জন নারী শ্রমিক। আহতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৮ জন ছিলেন মৎস্য খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নির্মাণ খাতে ৪৯ জন শ্রমিক আহত হন। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে ৪৮, পরিবহন খাতে ৪৭, জুতা কারখানায় ২০ জন, নৌপরিবহন খাতে ১৬ জন, তৈরি পোশাক শিল্পে ৩৭, জাহাজ ভাঙা শিল্পে ২৯, দিনমজুর ১৬, উৎপাদন শিল্পে ১৯ ও কৃষিতে ১০ জন শ্রমিক আহত হন। এর আগে ২০১৯ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৬৯৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে বিলস-এর ভাইস চেয়ারম্যান এমপি শিরিন আখতার, আনোয়ার হোসাইন, আমিরুল হক আমিন, উপদেষ্টা নইমুল আহসান জুয়েলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।