চট্টগ্রাম ব্যুরো,
খালের উপর স্থাপনা নির্মাণ তো দূরের কথা, আইনে আছে খাল বা জলাশয় ভরাট করা যাবে না। কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ফটিকছড়ির বক্তপুরে রাস্তা ও খাল দখল করে শেখ বাহাদুর টিটু ও রবি নামের প্রভাবশালী ব্যক্তি গড়ে তুলেছেন দ্বিতল ভবন ও সেমিপাকা ঘর। তারা খালের অংশ বিশেষ দখলের পাশাপাশি, খালের দুই পাশের রাস্তার মধ্যে একপাশের চলাচলের রাস্তার মাঝখানে সম্পূর্ণ দখল করে নিয়েছেন ভবনের জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় রাস্তা দখলের জন্য নিয়মিত নতুন নতুন সেমিপাকা ঘর তৈরীর কারণে খালের দুইটি রাস্তার মধ্যে একটি রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এসব অপরাধ করতে গিয়ে এলাকাবাসী বা প্রশাসনের কোন প্রতিবন্ধকতা না পেয়ে উৎসাহিত হয়ে তারা এখন খালের উপর অপরিকল্পিতভাবে ব্যক্তিগত সেতু নির্মাণ করছে। যাতে খালের একপাশের সম্পূর্ণ রাস্তা দখল করে অপর পাশের রাস্তাটি তাদের নিয়ন্ত্রনে এনে আশে-পাশের জায়গা সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাদের দখলে নিতে পারে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার ভূমি, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তারা জানিয়েছেন, খাল ও চলাচলের রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ করা হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মোহাম্মদ ইউছুফ নামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেন, খালের উপর অপরিকল্পিতভাবে ব্যক্তিগত ব্রিজ নির্মাণের ফলে বর্ষাকালে পানি ও পয়োঃ নিষ্কাষণ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। বর্তমানে খালের একপাশে চলাচল উপযোগী রাস্তাটিও ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবণা রয়েছে।
ফলে এলাকার লোকজন ব্রিজ নির্মাণে বাঁধা দিতে গেলে শেখ বাহাদুর টিটু ও রবিসহ তাদের স্থানীয় সন্ত্রাসী বাদল, বাবর ও বহিরাগত সন্ত্রাসী আব্বাসের দ্বারা এলাকাবাসী হামলার শিকার হয়। এব্যাপারে মোং ইউচুফ ২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের আদেশে পুলিশ ব্যবস্থাগ্রহণ করলে কয়েকদিন অবৈধ সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকে। তিনি জানান, কয়েকদিন পরে তারা আবারও পুরোদমে নির্বিঘ্নে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। ফলে ৩১ ডিসেম্বর পুনরায় খালের উপর অবৈধভাবে সেতু নির্মাণ বন্ধের দাবিতে একই আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। মোহাম্মদ ইউছুফের অভিযোগ, অবৈধ সেতু নির্মাণে বাঁধা দেয়ার কারণে স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। স্বপরিবারে গুম করে ফেলবে বলে আস্ফালন করছে। গত ৬ জানুয়ারি সেতু নির্মাণ বন্ধ ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী বলেন, খাল দখল করে ব্যক্তিগত সেতু নির্মাণের ফলে শত বছরের চলাচলের আমির ভূইয়ার বাড়ি সড়কটি অচল হয়ে পড়বে। এছাড়া ওই সড়ক দিয়ে ৮নং ওয়ার্ড নির্বাচন কেন্দ্র ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, ফারুক ই আজম(রা:) ইসলামীয়া সুন্নীয়া মাদরাসা, বক্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝর্ণা দিঘী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝর্ণা দিঘী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঈদগা ময়দান এবং স্থানীয় ঝর্ণা দিঘী জামে মসজিদে শত শত লোকজনের চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টি লিখিতভাবে ফটিকছড়ি ইউএনওকে অবহিত করলেও এখনো পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, খালটির একপাশে বিশাল অংশ দখল করে একটি বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে। বক্তপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মাগননাতির বাড়ির চলাচলের রাস্তার মাঝখানের সম্পূর্ণ অংশ ওই ভবনটি গিলে খেয়ে ফেলেছে। ফলে খালের এক পাশের রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। খালের অবস্থাও একই রকম। স্থানীয়রা জানিয়েছে, ভবনটির কারণে এলাকার পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা নাজুক। ফলে বর্ষায় পানি বাঁধাগ্রস্ত হয়ে এলাকায় প্লাবিত হয়। খালের তিনশ ফুটের মধ্যে আরো দুটি সেতু রয়েছে। সম্প্রতি খালের উপর আরো একটি ব্যক্তিগত অবৈধসেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে বর্তমানে চলাচলের উপযুক্ত রাস্তাটিও এক সময় নিশ্চিন্ন হয়ে যাবে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র খালের এক পাসের চলাচলের রাস্তাটি ব্যক্তিগতভাবে দখল করার জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে একসময় শতবছরের চলাচলের অন্য রাস্তাটিও হারিয়ে যাবে। তারা খাল দখল করে সেতু নির্মাণ বন্ধ ও ভবন উচ্ছেদ করে অন্য পাশের রাস্তাটি উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খালের উপর স্থাপনা নির্মাণ তো দূরের কথা, আইনে আছে খাল বা জলাশয় ভরাট করা যাবে না। কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ফটিকছড়ির বক্তপুরে রাস্তা ও খাল দখল করে শেখ বাহাদুর টিটু ও রবি নামের প্রভাবশালী ব্যক্তি গড়ে তুলেছেন দ্বিতল ভবন ও সেমিপাকা ঘর। তারা খালের অংশ বিশেষ দখলের পাশাপাশি, খালের দুই পাশের রাস্তার মধ্যে একপাশের চলাচলের রাস্তার মাঝখানে সম্পূর্ণ দখল করে নিয়েছেন ভবনের জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় রাস্তা দখলের জন্য নিয়মিত নতুন নতুন সেমিপাকা ঘর তৈরীর কারণে খালের দুইটি রাস্তার মধ্যে একটি রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এসব অপরাধ করতে গিয়ে এলাকাবাসী বা প্রশাসনের কোন প্রতিবন্ধকতা না পেয়ে উৎসাহিত হয়ে তারা এখন খালের উপর অপরিকল্পিতভাবে ব্যক্তিগত সেতু নির্মাণ করছে। যাতে খালের একপাশের সম্পূর্ণ রাস্তা দখল করে অপর পাশের রাস্তাটি তাদের নিয়ন্ত্রনে এনে আশে-পাশের জায়গা সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাদের দখলে নিতে পারে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার ভূমি, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তারা জানিয়েছেন, খাল ও চলাচলের রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ করা হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মোহাম্মদ ইউছুফ নামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেন, খালের উপর অপরিকল্পিতভাবে ব্যক্তিগত ব্রিজ নির্মাণের ফলে বর্ষাকালে পানি ও পয়োঃ নিষ্কাষণ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। বর্তমানে খালের একপাশে চলাচল উপযোগী রাস্তাটিও ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবণা রয়েছে।
ফলে এলাকার লোকজন ব্রিজ নির্মাণে বাঁধা দিতে গেলে শেখ বাহাদুর টিটু ও রবিসহ তাদের স্থানীয় সন্ত্রাসী বাদল, বাবর ও বহিরাগত সন্ত্রাসী আব্বাসের দ্বারা এলাকাবাসী হামলার শিকার হয়। এব্যাপারে মোং ইউচুফ ২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের আদেশে পুলিশ ব্যবস্থাগ্রহণ করলে কয়েকদিন অবৈধ সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকে। তিনি জানান, কয়েকদিন পরে তারা আবারও পুরোদমে নির্বিঘ্নে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। ফলে ৩১ ডিসেম্বর পুনরায় খালের উপর অবৈধভাবে সেতু নির্মাণ বন্ধের দাবিতে একই আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। মোহাম্মদ ইউছুফের অভিযোগ, অবৈধ সেতু নির্মাণে বাঁধা দেয়ার কারণে স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। স্বপরিবারে গুম করে ফেলবে বলে আস্ফালন করছে। গত ৬ জানুয়ারি সেতু নির্মাণ বন্ধ ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী বলেন, খাল দখল করে ব্যক্তিগত সেতু নির্মাণের ফলে শত বছরের চলাচলের আমির ভূইয়ার বাড়ি সড়কটি অচল হয়ে পড়বে। এছাড়া ওই সড়ক দিয়ে ৮নং ওয়ার্ড নির্বাচন কেন্দ্র ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, ফারুক ই আজম(রা:) ইসলামীয়া সুন্নীয়া মাদরাসা, বক্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝর্ণা দিঘী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝর্ণা দিঘী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঈদগা ময়দান এবং স্থানীয় ঝর্ণা দিঘী জামে মসজিদে শত শত লোকজনের চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টি লিখিতভাবে ফটিকছড়ি ইউএনওকে অবহিত করলেও এখনো পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, খালটির একপাশে বিশাল অংশ দখল করে একটি বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে। বক্তপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মাগননাতির বাড়ির চলাচলের রাস্তার মাঝখানের সম্পূর্ণ অংশ ওই ভবনটি গিলে খেয়ে ফেলেছে। ফলে খালের এক পাশের রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। খালের অবস্থাও একই রকম। স্থানীয়রা জানিয়েছে, ভবনটির কারণে এলাকার পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা নাজুক। ফলে বর্ষায় পানি বাঁধাগ্রস্ত হয়ে এলাকায় প্লাবিত হয়। খালের তিনশ ফুটের মধ্যে আরো দুটি সেতু রয়েছে। সম্প্রতি খালের উপর আরো একটি ব্যক্তিগত অবৈধসেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে বর্তমানে চলাচলের উপযুক্ত রাস্তাটিও এক সময় নিশ্চিন্ন হয়ে যাবে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র খালের এক পাসের চলাচলের রাস্তাটি ব্যক্তিগতভাবে দখল করার জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে একসময় শতবছরের চলাচলের অন্য রাস্তাটিও হারিয়ে যাবে। তারা খাল দখল করে সেতু নির্মাণ বন্ধ ও ভবন উচ্ছেদ করে অন্য পাশের রাস্তাটি উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।