চট্টগ্রাম : ফটিকছড়ির চিহ্নিত এক মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল । সংবাদ ছিল পাওয়া যাবে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য। অভিযানে মাদকদ্রব্যের পাশাপাশি পাওয়া গেছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। বিস্মিত পুলিশের অভিযান টিমের সদস্যরা। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে মূল অপরাধী শফিউল আজম পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে বাড়ি থেকে তার স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ফটিকছড়ির কুম্বারপাড়া বড়বাড়ি এলাকার মো. ইলিয়াছের ছেলে মো. রাশেদ (১৫), হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট এলাকার মো. ফরিদ মিয়ার ছেলে মন্নান মিয়া (৩৩) ও শফিউল আজমের স্ত্রী সাজু আকতারকে (৩৮)। গতকাল শুক্রবার ভোরে থানার পূর্বফরহাদাবাদ এলাকার হাজি রহমত আলী বাড়িতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দেশে তৈরি দুটি এলজি, একটি একনলা বন্দুক, একটি কাটা রাইফেল, একটি এয়ারগান, দুটি রিভলবার সদৃশ গ্যাস লাইট, ১০টি কার্তুজ, দুই রাউন্ড পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের গুলি, একটি চাপাতি, তিনটি ছোরা ও দুটি ধারালো দা। এছাড়া অভিযানে ৪০০ পিস ইয়াবা, ৯ কেজি গাঁজা ও ৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদকদ্রব্য বিক্রির ৪৭ হাজার ২৬৫ টাকা এবং দুটি মোবাইল সেটও পাওয়া যায়।
গতকাল বিকালে পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা তার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মূলত বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জমা রাখা হয়েছেণ্ডএমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ মাদক সম্রাট হিসেবে খ্যাত শফিউল আজমের বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে মাদকের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রধান আসামি শফিউল আজমকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির পেছনের পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে সে পালিয়ে যায়। আজম চারটি মামলার আসামি। এর মধ্যে হত্যা ও ডাকাতির দুটি মামলায় সে অভিযুক্ত প্রমাণ হয়েছে। অন্য দুটি হলো মাদক মামলা। এই মামলায় সে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। আমরা তাকে গ্রেপ্তারে পুনরায় অভিযান চালাব। পুলিশ তার সহযোগী সন্দেহে মান্নান, রাশেদ ও আজমের স্ত্রী সাজুকেও গ্রেপ্তার করে।
কিশোর রাশেদ মাদক ব্যবসায় জড়িত কিনা জানতে চাইলে এসপি জানান, সে আজমের মাদক বহনকারীদের একজন। তার চেয়েও বড় কথা সে তার ইনফর্মার। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।