অনলাইনে জুড়োনো প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে তিনি সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে সুদূর চীনে গিয়েও পেলেন না ‘ছলনাময়ী’র সাক্ষাৎ। এমনকি দেখা পাওয়ার আশায় এয়ারপোর্টে টানা ১০ দিন বসে থেকেও মন গলাতে পারলেন না প্রেমিকার। শেষমেষ অসুস্থ হয়ে ফিরে যেতে হলো তাকে।অনেকটা অপমানিত হয়ে ফিরে যাওয়া ওই প্রেমিকের নাম আলেক্সান্ডার পিটার সার্ক (৪১)। ‘প্রেমিকা’র জন্য তার এই ব্যর্থ অপেক্ষা এবং ফিরে যাওয়ার খবর এখন চীনা সংবাদমাধ্যমের অন্যতম হটকেক।
সংবাদমাধ্যমে জানায়, পিটার সার্ক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝ্যাং ছদ্মনামী (২৬) এক তরুণীর সঙ্গে পরিচিত হন। একসময় তাদের পরিচিতি গড়ায় প্রণয়ে। প্রণয়কে পরিণয়ে রূপ দিতে পিটার সুদূর চীনেই চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন।একদিন চলেও আসেন নেদাল্যান্ডের হেগ থেকে চীনের হুনান প্রদেশের চাংশা এয়ারপোর্টে। পিটার প্লেন থেকে নামলেন। কিন্তু কেউ তাকে স্বাগত জানাতে এলো না।
পিটার ভাবেন, বান্ধবীর হয়তো কোনো সমস্যা হয়েছে, সেজন্য তখনই আসতে পারেনি। তাই তিনি এয়ারপোর্টের অভ্যর্থনা কক্ষে অপেক্ষা করতে লাগলেন। কিন্তু বান্ধবী আসেন না। আসেন না একদিন, দু’দিন, পাঁচদিন। পিটার অপেক্ষা করতেই থাকেন। তার সে অপেক্ষার ছবি ছড়িয়ে পড়ে কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। হয়তো সে ছবি পৌঁছায় বান্ধবীর স্মার্টফোনেও।এভাবে ১০ দিন অপেক্ষা করতে থাকেন পিটার। একসময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ভর্তি করা হয় নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পরে অবস্থার উন্নতি হলে পিটারকে ধরিয়ে দেওয়া হয় স্বদেশের ফ্লাইট।
পরে সংবাদমাধ্যম প্রেমিকা ঝ্যাংয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রেমে জড়িয়েছিলাম ঠিক। কিন্তু ও আমার সঙ্গে কিছু বাজে আচরণ করেছে।’ঝ্যাং বলেন, একদিন আমি দেখলাম সে আমাকে হঠাৎ প্লেনের টিকিটের ছবি তুলে পাঠিয়েছে, বললো সে আসছে। কিন্তু আমি ভাবলাম সে মজা করছে। পরে সে আমার সঙ্গে আর যোগাযোগও করেনি।
চীনা এই তরুণী দাবি করে বলেন, ফ্লাইটের টিকিটের ছবি পাঠানোর পর সে হয়তো আরও কিছু মেসেজ দিয়েছিলো আমাকে। কিন্তু অপারেশনের জন্য আমি আরেক শহরে চলে গিয়েছিলাম, এ কারণে তার মেসেজগুলো দেখিনি।ঝ্যাং জানান, তিনি আশা করছেন শিগগির পিটারের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে কীভাবে দেখা করবেন, বা সুদূর নেদারল্যান্ডে যাবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু বলেননি ঝ্যাং। তাছাড়া এ অপমানের পর পিটার নিজেই এ সম্পর্কে আর জোড়া লাগাবেন কিনা তাও বোঝা যাচ্ছে না।