মুক্তি সংগ্রামের রাষ্ট্রে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের কোনভাবেই ‘শাসক’ হওয়ার সুযোগ নেই, সুযোগ আছে কেবল ‘সেবক’ হওয়ার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন। ‘শাসক’ হওয়ার মনোবৃত্তি এবং ‘শাসন’ করার প্রশাসন ব্যবস্থায় অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে। উপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা ছুঁড়ে ফেলে দেয়ার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল, উপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের জন্য নয়।
দুর্নীতি ও প্রশাসনের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধে উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনের পাঁচ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আ স ম রব বলেন, শক্তিশালী ও স্ব-শাসিত স্থানীয় সরকার, গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ এবং জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সংবিধানের নির্দেশনা। উপজেলা পরিষদ স্ব-শাসিত স্থানীয় সরকারের কার্যকর ভিত্তি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ সংবিধান, আইন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কর্মসম্পাদন করতে গিয়ে প্রতিমুহূর্তে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন, ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন যা আমাদের মুক্তি সংগ্রামের চেতনার পরিপন্থী। জনপ্রতিনিধিদের নির্বাহী তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সাংবিধানিক এখতিয়ার বহির্ভূত।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের পরিকল্পতভাবে অপসারণ করা জনগণের অংশগ্রহণমূলক শাসন ব্যবস্থাকেই বিদায় করার পাঁয়তারা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে স্ব-শাসিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি।
আ স ম রব বলেন, কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদের ‘উচ্চ কক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করে উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিসহ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা চালু করতে হবে। তাহলেই গণতন্ত্র বিকাশে যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত হবে এবং স্ব-শাসিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উপর হতে প্রশাসনের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ হবে।