ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর ইংরেজী নববর্ষের শুরুতেই দর্শনার্থীদের ভীড়ে জমে উঠেছে । করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা দেশের ন্যায় গত ২০ মার্চ বন্ধ করে দেয়া হলেও দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় পর সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলে গত ০৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় খুলে দেয়া হয় জাদুঘরটি।
তখন জানানো হয়েছিল, প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যেক দর্শনার্থীকে মুখে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। এছাড়াও করোনা থেকে রক্ষা পেতে যা যা করণীয় তা তা পালনে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।
কিন্তু শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাদুঘরে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই। বড়সর্দারবাড়ি, গ্রন্থাগার, কারুপল্লী ও লেকের কোথাও সেই অর্থে কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মাস্ক ছিল না অধিকাংশ মানুষের মুখেই। যাদের ছিল তাদেরও পাওয়া গেলো থুতনিতে মাস্ক পরিহিত অবস্থায়।
কারুপল্লীতে মাস্ক পরে একাগ্রচিত্তে কাজ করছিলেন শিল্পী তাপস পাল। কথা হলো তার সাথে।
জাদুঘরের অদূরে আরেক দর্শনীয় স্থান পানাম নগরীর চিত্রও প্রায় একই রকম। সেখানকার প্রাচীন ভবনগুলোর ভেতরে-বাইরে, খোলা স্থানে, পুকুরঘাট কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। পরিবারসহ সেখানে ঘুরতে এসেছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাম তালুকদার। মুখে মাস্ক নেই কেন জিজ্ঞেস করলে বলেন, “শুরুতে অনেক কষ্ট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছি। কিন্তু এখন দেখছি কেউই ঠিকভাবে আর তা মানছে না। মাস্ক পরা যেন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। সবাই যেভাবে উন্মুক্তভাবে সব জায়গায় ঘুরছে তাতে আর মাস্ক পরেই কি লাভ!”