পার্ক স্ট্রিটের ফুটপাথে অসংখ্য মানুষ, মুখে মাস্ক, রেস্তোরাঁর সামনে লম্বা ভিড়। কলকাতায় বর্ষশেষের রাত কিংবা বর্ষবরণের আবাহনে বৃহস্পতিবার সব ছিল। কিন্তু ছিল না শুধু প্রাণ। আলো ছিল, কিন্তু ছিল না যেন সেই রং। মাইক্রোফোনে পুলিশের মুহুর্মুহু ঘোষণা, মাস্ক পরুন, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলুন। সব কিছুই যেন হচ্ছে নিছক যান্ত্রিক দক্ষতায়। যন্ত্রের তো প্রাণ থাকে না। পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন রাসেল স্ট্রিটের ফ্লোরিয়ানা রেস্তোরাঁর ম্যানেজার পার্থ দাসগুপ্ত জানালেন, অন্যবারের তুলনায় ভিড় প্রায় ৩০ শতাংশ কম।
অন্যবার ওয়েটিং টাইম থাকে প্রায় ৪৫ মিনিট। এবার মেরে কেটে ১৫/২০ মিনিট। ফ্লোরিয়ানার রাবিট কিংবা স্নাইপস রোস্ট এর খুব চাহিদা থাকে অন্যবার। এবার যেন পিপিরা কাঁদিয়া যায় পাতে। প্রতিটি মানুষের শুধু একটাই প্রার্থনা, ২০২১ যেন ভালো যায়। বছরের শেষ দিনেও বাংলায় ২৯ জনের প্রাণ গেছে কালান্তক করোনায়। আক্রান্ত হয়েছেন এগারোশো সত্তর জন। করোনা এবার ম্লান করলো বর্ষবরণকে। গঙ্গা থেকে জাহাজের ভোঁ বেজে আসছে, আতশবাজি পুড়ছে, জ্বলছে। কিন্তু, মানুষ আনন্দে উদ্বেলিত হচ্ছে করোনার লাল সিগন্যালকে মেনে। এই সিগন্যাল কবে সবুজ হবে কে জানে? দুহাজার একুশ, তুমি পারো কি সেই সন্ধান দিতে?