পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ একটি টাটা সুমোতে চেপে ৫-৭ জন সশস্ত্র জঙ্গি বালাজান বাজারে নেমেই এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। সেই সঙ্গে গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালায়। ব্যস্ত বাজারে আচমকাই হামলা চালানোয় দিশেহারা হয়ে পড়েন মানুষ। খবর পেয়ে কোকরাঝাড় জেলা পুলিশ এবং সিআরপিএফ-একটি বিশাল দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। খবর দেওয়া হয় সেনা জওয়ানদের। এর পরেই জঙ্গি এবং নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের পর নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয় এক জঙ্গির। মৃত জঙ্গির কাছ উদ্ধার হয়েছে একটি এক ৫৬ রাইফেল এবং একটি তাজা গ্রেনেড। ডিজিপি মুকেশ সহায় জানিয়েছেন, এনডিএফবি (সংবিজিত) এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তিনি আরও জানান, যে গাড়িতে করে জঙ্গিরা এসেছিল সেটার নম্বরপ্লেট খতিয়ে দেখা গিয়েছে, ওই নম্বরের কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল দিল্লিতে রয়েছেন। রাজ্যে জঙ্গি হামলার বিষয়টি তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরকে বিষয়টি জানিয়েছেন। রাজনাথ সিংহ পরে টুইট করে বলেন, “সর্বানন্দ সোনওয়াল বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে।”
সোনওয়াল বলেন, “হামলার তীব্র নিন্দা করছি। সরকার এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।” পাশাপাশি, তিনি মৃত ও আহতদের জন্য ৫ লক্ষ ও ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। -আনন্দবাজার /বর্তমান