জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ইসির বিরুদ্ধে গুরুতর অসাদচারনের অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা নিতে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদকে দেয়া ৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের চিঠি যথার্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন । তিনি বলেন, বিশিষ্ট নাগরিকরা আমাদের বক্তব্যই তুলে ধরেছে। সোমবার দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে দলের প্রেসিডিয়ামের সভা শেষে সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের উপর মানুষের আস্থা নেই। শুধু নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হলে চলবে না। সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা দিতে হবে। নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। আমরা অনেক দিন ধরেই আমরা এসব কথা বলে আসছিলাম। বিশিষ্ট নাগরিকরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি কোন প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চায়না।
নির্বাচন কমিশনসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। কমিশন যেন প্রতিটি নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষা, গ্রহণযোগ্য ও প্রতিযোগিতামূলক করতে পারে।
বাবলু বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ধানমন্ডি এলাকায় উপনির্বাচনে মাত্র শতকরা ২ভাগ ভোট পড়েছে এবং ডেমরা এলাকায় ভোট পড়েছে মাত্র শতকরা ১০ ভাগ। অথচ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দাবি করে তাদের কারো ৩৫ আবার কারো ৪০ ভাগ ভোট রয়েছে। এতে প্রমাণ হয় নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা নেই। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয়।
জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, মহামারি আকারে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। হাসপাতালে সিট নেই, চিকিৎসা নেই। এখন মানুষ বাঁচানোই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি। তিন কোটি ভ্যাকসিন বুকিং দিয়েছে সরকার, তা তিন কোটি মানুষ পাবে নাকি দেড় কোটি মানুষ দুটি করে ডোজ পাবে তা পরিস্কার নয়। আমরা দাবি করেছি, দেশের প্রতিটি মানুষকে বিনামূল্যে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে খুুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস বন্ধ হচ্ছেনা। ধর্ষণ প্রতিরোধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন হয়েছে কিন্তু ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছেনা। অথচ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এসিড সন্ত্রাস বন্ধে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন কার্যকর করে এসিড সন্ত্রাস নির্মূল করেছিলেন। এরশাদ উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করেছিলেন। তাই দেশের মানুষ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর জাতীয় পার্টির শাসন ফিরে পেতে চায়। জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে গোলাম মোহাম্মদ কাদের-এর নেতৃত্বে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের রাজনীতির নিয়ামক শক্তি হিসেবে আর্বিভূত হবে।