ঢাকা : কারো কারো কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু হলেও আমাদের কাছে এটা দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, । কিভাবে দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করবো- এটাই আমাদের লক্ষ্য।এই লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা চলছি। এটাই হলো আমাদের রাজনীতি।’’
বৃহস্পতিবার সকালে তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির পাশাপাশি কাজের গতি বাড়ানোর লক্ষে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়।
প্রথমবারের মতো ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সঙ্গে এপিএ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পাশাপাশি এগুলোর অধীনে থাকা দপ্তর ও সংস্থাগুলোর সঙ্গেও এই চুক্তি হয়। চলতি অর্থবছর থেকে বিভাগীয়, আঞ্চলিক ও জেলা পর্যায়ের দপ্তরগুলোরকেও এপিএর আওতায় আনা হয়েছে।
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের রাজনীতি হলো দেশের উন্নয়ন করা, মানুষের উন্নয়ন করা। আর দীর্ঘ পরিকল্পনা না থাকলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত করা রাখা যায় না।’’
দেশের উন্নয়নে নিজের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারাগারে বসে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় গেলে কী কী কাজ করবো, দেশের কিভাবে উন্নয়ন করবো এমন ছক আঁকছিলাম। জনগণের চাহিদা পূরণে কী কী কাজ করতে হবে সেই পরিকল্পনা তৈরী করি। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে সেই রূপকল্প অনুসারে কাজ শুরু করি। এখনো সে অনুযায়ী কাজ করছি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘গত মেয়াদে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন বিশ্বব্যাপী মন্দাভাব ছিল। তারপরও আমরা ছয়ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি।এজন্য অনেক রাষ্ট্রপ্রধান আমার কাছে জানতে চেয়েছেন কিভাবে আমরা এমনটা করতে পেরেছি।এর পেছনে ম্যাজিক কী?’’