ঢাকা : রবিউল ইসলাম শিপলু ২০১৩ সালে এই সাতক্ষীরার ছেলে, ফাস্ট বোলার জাতীয় দলে ডাক পান। একটু প্রাণ তৈরি হয় জেলার ক্রিকেটে। ২০১৪ সালের শেষ দিকে মঞ্চে আসেন সৌম্য সরকার। চঞ্চল হয়ে ওঠে সাতক্ষীরার ক্রিকেট। আর ২০১৫ সালে বিস্ফোরণটা ঘটান মুস্তাফিজুর রহমান; কাটার বয় মুস্তাফিজ, রহস্যময় বোলার মুস্তাফিজ, দুনিয়া কাঁপানো দ্য ফিজ!
জেলার প্রাচীনতম ক্রিকেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সাতক্ষীরা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি’র প্রধান ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোচ মুফাচ্ছিনুল ইসলাম তপু দৈনিক ইত্তেফাককে বললেন, ‘পাঁচ বছর আগে কী অবস্থা ছিল আমাদের? বিশ-বাইশ জন ছেলে পেতাম কি না সন্দেহ। বাড়ি থেকে ডেকে আনতে হতো। কোনো কোনো দিন দুজন পাওয়া যেতো কি না সন্দেহ। আমার মাঠের পাশে বাসা, তাই এখানেই থাকতাম। কাউকে পেতাম না। আর এখন আমরা সব আগ্রহী ছাত্রদের জায়গাও দিতে পারি না। মুস্তাফিজ, সৌম্য, শিপলুদের কারণে সাতক্ষীরার ব্র্যান্ডটাই চেঞ্জ হয়ে গেছে।’
মুস্তাফিজের প্রথম কোচ আলতাফ হোসেন মনে করেন, মুস্তাফিজ-সৌম্যরা সাতক্ষীরার ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছেন, ‘সাতক্ষীরার পরিচিতি ছিলো নেগিটিভ। একটার পর একটা খারাপ কারণে সাতক্ষীরা খবরে আসতো। ক্রিকেট সাতক্ষীরার পরিচয় বদলে দিয়েছে। এখন সাতক্ষীরা বললে লোকে মুস্তাফিজ-সৌম্য বোঝে।’