চট্টগ্রাম :মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী, নাসিরাবাদসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকার ভবনে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়েছেন ।
বুধবার (০৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে ২১টি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় সিডিএ’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী জসিম উদ্দিনকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেন তিনি।
মেয়র বলেন, খুলশীতে রেস্ট হাউস শুরু করে এমন কিছু বাদ নেই, যা এ এলাকায় নেই। নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে স্কুল হচ্ছে। প্রচুর যানজট হচ্ছে। আবাসিকের বাসিন্দারা বেরোতে পারছে না। প্রতিনিয়ত অভিযোগ পাচ্ছি। তাই নকশা অনুমোদনের সময় আবাসিক নাকি বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমোদন নিয়েছে দেখা দরকার। তালিকা পেলে অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করা হবে। একই সঙ্গে ওয়ার্ডভিত্তিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। পুলিশের সখ্যতার কারণে তারা বুক ফুলিয়ে ব্যবসা করছে। যুব সমাজকে ধ্বংস করে ফেলছে। এটি সিরিয়াসলি নিতে হবে। মেয়র নগরবাসীকে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল থেকে রেহাই এবং সম্প্রসারিত সড়ক থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর উদ্যোগ নিতে বলেন।
সভায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী নগরীর সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো চসিকের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পনা বা প্রকল্প নিতে হবে। প্রতি তিন মাস পর এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে আসতে হবে।
সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল খালেদ ইকবাল, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন চৌধুরী, বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক চৌধুরী মো. ইসা-ই খলিল, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী একেএম সামসুল করিম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, চট্টগ্রাম ওয়াসার সচিব মো. সামসুদ্দোহা, বিটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক তমাল কান্তি নন্দী, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক সামসুর রহমান খান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র ধর, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর পরিচালক মো. আজাদুর রহমান মল্লিক, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের উপপরিচালক নিউটন দাস, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের উপপরিচালক মো. মোখলেছুল রহমান, সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালক বন্দনা দাশ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রভাতী দেব, জেলা পানিসম্পদ কর্মকর্তা শাহেদা আখতারসহ সমন্বয় সভায় ২১টি দপ্তরের প্রধান ও প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, সিটি ম্যাজিস্ট্রেট সনজীদা শরমিন, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল হক, স্থপতি একেএম রেজাউল করিমসহ বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।