ঢাকা : অবস্থান পরিবর্তন না করলে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে বৃহস্পতিবার হাতিটি উদ্ধারে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসিম মল্লিক।
ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা বুনোহাতিটি উদ্ধারে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর প্রত্যন্ত এলাকায় আটকে থাকা বুনো হাতিটি উদ্ধারে বুধবার সন্ধ্যায় আসাম থেকে বন কর্মকর্তা, হাতি বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত মাহুতসহ একটি দল বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
বুনো হাতিটি এখন জামালপুরের একটি চরে অবস্থান নিয়েছে। হাতিটি এখন যে অবস্থানে রয়েছে, সেখানে সেটি উদ্ধার করতে গেলে উল্টো বিপদে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ভারতীয় কারিগরি টিমের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা ঠিক করবেন, কোন প্রক্রিয়ায় হাতিকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে আনা হবে।
হাতিটিকে নজরে রাখছে উপজেলা প্রশাসন, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সাফারী পার্কের ইউনিট, ময়মনসিংহ বন বিভাগ ও ঢাকা প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের একটি প্রতিনিধি দল।
এলাকাবাসী ও বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট সূত্র জানিয়েছে, বন্য হাতিটি দীর্ঘদিন ধরে পানির মধ্যে থাকায় ও খাবার না পাওয়ায় ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন হাতিটিকে উৎসুক মানুষ ডাঙ্গায় উঠতে না দেওয়ায় সারাদিন বানের পানিতেই অবস্থান করছে। ডাঙ্গায় ওঠার জন্য হাতিটি প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মাইল বানের পানিতে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যায় বুনোহাতিটি সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের দাসের বাড়ী গ্রাম এলাকায় বানের পানিতে আখের খেতে অবস্থান করছিল।