ঢাকা : বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের কথিত প্রধান হিসেবে নাম আসা তামিম চৌধুরী ও সেনাবিদ্রোহের চেষ্টার অভিযোগে চাকরিচ্যুত সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল হককে ধরিয়ে দিলে বড় অংকের পুরস্কার দেবে পুলিশ। ধরিয়ে দিলে আবারও আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা এলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে। কিন্তু এর আগে ঘোষণা করা একই ধরনের পুরস্কারের তেমন সুফল পাওয়া যায়নি।
গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস ও জাঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে নানা ধরনের কৌশল নিয়ে থাকেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে পুরস্কার ঘোষণা অন্যমত। তবে এই সুবিধা পেয়েছেন-এমন তথ্যও জানা যায়নি।
এরই মধ্যে জঙ্গি তৎপরতা থেকে ফিরে আসলে ১০ লাখ টাকা অথবা জঙ্গিদের বিষয়ে তথ্য দিলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তবে এখন পর্যন্ত কেউ এই টাকা নেয়ার আগ্রহ দেখাননি বলে নিশ্চিত করেছেন বাহিনীটির কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ ফিরে এসেছেন বলে আমার জানা নেই।
এর মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুরের জঙ্গিদের ‘মাস্টার মাইন্ড’ তামিম চৌধুরী ও বরখাস্ত মেজর জিয়াকে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
আগের অভিজ্ঞতাও একই রকম
বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়, প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন, ব্লগার নীলাদ্রী শেখরসহ অনলাইন অ্যাকিভিস্টের খুনি সন্দেহে গত ২০ মে ছয় জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের ধরিয়ে দিলে মোট ১৮ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণাও করে তারা।
পুরস্কার ঘোষণার পর এদের একজন পুলিশের হাতে আটক হন। তাকে কেউ ধরিয়ে দিয়েছে, এমন তথ্য জানায়নি পুলিশ। আর বাকিদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
২০১৫ সালের গত বছরের ২৬ জানুয়ারি হরতাল অবরোধে বাসে আগুন দিয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন নাশকতায় জড়িত ২৮ জনকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কিন্তু তাদের কাউকে আজ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
ওই সময়ে বলা হয়েছিল বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে তাকে গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করলে এক লাখ টাকা, ককটেল বোমা নিক্ষেপ কালে সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীকে গ্রেপ্তারে সহায়তা করলে ৫০ হাজার টাকা এবং পেট্রলবোমা মওজুদকারীদের ধরিয়ে দিলে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলেও জানিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের পর মতিঝিলে তান্ডব চালানোর অভিযোগে ১১ জামায়াত কর্মীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। কিন্তু এদের একজনও ধরা পড়েনি।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |