ঢাকা : ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানও কোনো কোনো ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কারণেই আইন মেনে চলে না। তাই আমরা প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, পদ্ধতিগত উন্নয়ন এবং আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে দায়িত্বপালনের বিষয়ে কার্যকর করার চেষ্টা করছি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির খসড়া কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা-(২০১৬-২০২১) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রক্রিয়াগত কারণেই কমিশন দায়িত্বপালনে সম্পূর্ণভাবে সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারছেনা। প্রক্রিয়ায় সমস্যা থাকায় কমিশনের প্রতি মানুষের কাঙ্খিত মাত্রার আস্থা নেই। এ কারণেই কমিশন এই কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সমাজের সকল স্তরের ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, কারণ দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যা দেশের ভবিষৎকে অন্ধকার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে জাতিকে বাঁচাতে হলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৮৫ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে টার্গেট করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তাই দুদক পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনায় শিক্ষার বিষয়টি সম্পৃক্ত করেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, বড় বড় রুই কাতলাদের ধরা হচ্ছে না বলা হয়। আসলে এ বিষয়ে দেশে প্রচলিত আইন ও পদ্ধতি সকলের বিবেচনায় রাখতে হবে। আমি শুধু বলতে পারি, নিরাশ হওয়ার কিছু নেই দিনের শেষে সত্যের জয় নিশ্চিত। বিলম্বে হলেও দুর্নীতিগ্রস্থরা অবশ্যই শাস্তি পাবে। সবাইকেই জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের মঙ্গলের জন্যই দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে।
এ মতবিনিময় সভায় কমিশনের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, আলোচনা অনুষ্ঠান মডারেট করেন কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির, সাবেক মন্ত্রী ড. মিজানুর রহমান শেলী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুশাসনের জন্য নাগরিক এর ড. বদিউল আলম মজুমদার, এমআরডিআই এর প্রধান হাসিবুর রহমান মুকুর, সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারে উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, সিপিডি’র ফাতেমা ইউসুফ প্রমুখ।