চট্টগ্রাম : সাগরে ডুবে শরণার্থী মৃত্যুর জন্য চলতি বছরটি সবচেয়ে ভয়ানক বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএম। ভূমধ্যসাগরে ইউরোপমুখী শরণার্থীদের ‘মরণযাত্রা’ থেমে নেই। চলতি বছরের গত সাত মাসে সাগরে অন্তত তিন হাজার ৩৪ শরণার্থীর মৃত্যু ঘটেছে, যা গত বছরের এ সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।  ভূমধ্যসাগর থেকে এ বছর হাজার হাজার লোককে জীবিতও উদ্ধার করেছে ইতালির কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার থেকে এ পর্যন্ত ৬ হাজার শরণার্থীকে জীবিত উদ্ধার করেছে তারা। খবর আলজাজিরা ও ইনডিপেনডেন্ট।
আইওএম এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত অন্তত তিন হাজার ৩৪ জন শরণার্থীর মৃত্যু ঘটেছে। গত বছরের তুলনায় এ সংখ্যা ৫৪ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টায় ভূমধ্যসাগর পার হতে গিয়ে এক হাজার ৯৭০ জন প্রাণ হারান। ঝুঁকিপূর্ণ নৌকায় ভূমধ্যসাগর পার হতে গিয়ে ২০১৫ সালে গোটা বছরে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৭৭১ জন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, চলতি বছরটি শরণার্থী মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাটির নিরাপদ পারাপার নিশ্চিত করার আহ্বান সত্ত্বেও তা বাস্তবায়ন না হওয়াই এর অন্যতম কারণ বলে তাদের প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন ক্লিনিক অ্যাট ইউএসসি গোল্ড স্কুল অব ল’র পরিচালক নিয়েলস ফ্রেঞ্জেন বলেন, ‘আমরা এখন ২০১৫ সালের মৃতের সংখ্যা অতিক্রম করার মুখে। মানবিক সুরক্ষা কমিয়ে কেবল সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর মতো কঠোর নীতি গ্রহণের মাধ্যমে শরণার্থী সংকট দ্রুত দূর করা যাবে বলে আমি মনে করি না।’
নিয়েলস ফ্রেঞ্জেন আরও বলেন, ‘শরণার্থী সুরক্ষা ইস্যুতে চলমান বিতর্কের ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করছে ইউরোপের কট্টর ডানপন্থিরা। এতে আরও কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।’ তবে ইইউ-তুরস্ক কঠোর চুক্তির পর চলতি বছর তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। ২০১৬ সালে এ পর্যন্ত মাত্র ৩৮৩ জন মারা গেছে। চুক্তির পর এ পথে ভূমধ্যসাগর পার হওয়ার হার কমে যাওয়াই এর বড় কারণ। কিন্তু লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার দ্বিতীয় পথে এ বছর ডুবে মারা গেছে অন্তত দুই হাজার ৬০৬ শরণার্থী। এ প্রসঙ্গে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের (ইসিএফআর) অন্যতম ফেলো মাত্তিয়া টোলাডো বলেন, ‘ইউরোপীয় মূূল্যবোধের জন্য এটি একটি কলঙ্ক। শুধু তা-ই নয়, যেসব দেশে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে, সেসব দেশের স্থিতিশীলতার জন্য তা বড় হুমকি হয়ে উঠবে।’
মাত্তিয়া টোলাডো ক্ষোভের সঙ্গে জানান, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের মতো বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো বলতে গেলে শরণার্থী সংকট থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে। বলকান দেশগুলো তাদের ইউরোপীয় সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে
Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031