হাইকোর্ট স্বাস্থ্যের চিহ্নিত ১১ খাতের দুর্নীতি কমাতে মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতি দমন কমিশনের দেওয়া ২৫ দফা সুপারিশের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউ’র জন্য আটটি অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল রেসপিরেটরি ভেন্টিলেটর (এআরভি) মেশিন স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারে অবহেলার অভিযোগের ঘটনায় জারি করা রুলের রায়ে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য খাতের এসব অনিয়মের বিষয়ে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে তা প্রতিহতের জন্য মন্ত্রণালয়ে ২৫ দফা সুপারিশ করে সংস্থাটি।
দুদক প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যখাতের কেনা-বেচা, নিয়োগ, পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি, চিকিৎসা দেওয়া, চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইকুইপমেন্ট ব্যবহারে, স্বাস্থ্যের ওষুধ সরবরাহে অনিয়মসহ বিভিন্ন দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা হয় ও তা সুপারিশ আকারে পেশ করা হয়।
দুদকের করা সুপারিশের বলা হয়, সিটিজেন চার্টার প্রদর্শনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সহ মানা, ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ইজিপি টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপন ও অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব স্থায়ী চিকিৎসক বা কর্মচারী ও কার্যনির্বাহী কমিটি ইত্যাদি রয়েছে কিনা এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া।
সুপারিশে আরও বলা হয়, ওষুধের নাম না লিখে জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা, ইন্টার্নশিপ এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা এবং বর্ধিত এক বছর উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে থাকা বাধ্যতামূলক করা।
এসব সুপারিশে চিকিৎসকদের পদোন্নতির জন্য সরকারি চাকুরেদের ক্ষেত্রে পিএসসি এবং বেসরকারিদের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য) এবং পিএসসির প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ দেওয়ার মতো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।