কলেজ অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে যুবতীকে ধর্ষণের মামলার আসামি । বুধবার অধ্যক্ষ বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। ট্রাইবুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ অধ্যক্ষকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের কোচনগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বাকেরগঞ্জ কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ।
বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, মামলার বাদী যুবতীর সঙ্গে অটোরিকশায় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি যুবতীর ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে অধ্যক্ষ ওই যুবতীকে বিভিন্ন সময় ফোন করে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
এছাড়াও অধ্যক্ষ তার কলেজে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেন। এতে যুবতী ও অধ্যক্ষের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় যুবতীর বাড়িতে যান। ওই সময় যুবতীর ঘরে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন। পরে যুবতীকে বিয়ে না করে টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন অধ্যক্ষ।
এ ঘটনায় গত ২২ জুন বাকেরগঞ্জ থানায় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন যুবতী। মামলার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জানিন নেন। উচ্চ আদালতের আগাম জামিন শেষে শহিদুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। বিচারক তার আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।